যিরূশালেমে যাত্রাগুলি
বসন্তকাল এসে গেছে। আর এই সময়, যোষেফ ও তার পরিবার তাদের বন্ধু ও আত্মীয়দের
সাথে, যিরূশালেমে বাৎসরিক বসন্তকালীন যাত্রা করেন নিস্তারপর্ব পালন করতে। তারা বের
হচ্ছেন প্রায় ১০০ কিলোমিটার যাত্রার জন্য, ও যাত্রার নিয়মিত উত্তেজনাগুলিও আছে। যীশু
এখন ১২ বৎসরের, আর তিনি সেই উৎসবের দিকে বিশেষ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন।
যীশু ও তার পরিবারের কাছে, নিস্তারপর্ব কেবল একদিনের ব্যাপার নয়। তারা আরও
সাতদিন থাকেন তাড়ীশূন্য রুটির পর্বের জন্য, যা তারা মনে করেন নিস্তাপর্ব কালের অঙ্গ
হিসাবে। সেইজন্য তাদের বাড়ি নাসরৎ থেকে , যিরূশালেমে যাত্রা ও সেখানে থাকা, প্রায় দুই
সপ্তাহ নেয়। কিন্তু এই বৎসর, যেহেতু যীশুকে কেন্দ্র করে কিছু ঘটে, তা আরো বেশী সময়
নেয়।
এই সমস্যা দৃষ্টিগোচর হয় যিরূশালেম থেকে ফিরে আসার সময়। যোষেফ ও মরিয়ম ধরে
নেন যে যীশু আত্মীয় ও বন্ধুদের দলের মধ্যেই আছেন। কিন্তু যখন রাত হয় তাকে দেখতে পাওয়া
যায় না, তখন তারা তাকে সহ-যাত্রীদের মধ্যে খুজতে থাকেন। তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়
না। তাই যোষেফ ও মরিয়ম আবার যিরূশালেম ফিরে যান তাকে খুজতে।
প্রায় একটি পূর্নদিন তারা তাকে খোজেন, কিন্তু কোন ফল হয় না। দ্বিতীয় দিনও তারা
তাকে খুজে পান না শেষে, তৃতীয় দিনে, তারা মন্দিরে যান । সেখানে , একটি ঘরে, তারা দেখেন
যীশু যিহূদী শিক্ষকদের সাথে বসে, তাদের কথা শুনেছেন ও তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন।
বৎস, আমাদের প্রতি এইরূপ ব্যবহার কেন করিলে? মরিয়ম জিজ্ঞাসা করেন। দেখ তোমার
পিতা এবং আমি কাতর হইয়া তোমার অন্বেষণ করিতেছি।
যীশু আশ্চর্য্য হন যে তারা জানে না যে তাকে কোথায় খুজে পাওয়া যাবে। কেন আমার
অন্বেষণ করিলে? তিনি জিজ্ঞাসা করেন। আমার পিতার গৃহে আমাকে থাকিতেই হইবে, ইহা কি জানিতে
না?
যীশুর বোধগম্য হয় না যে কেন তার পিতামাতা ইহা জানে না । তারপর যীশু তার পিতামাতার
সহিত ঘরে ফিরে যান ও তাদের বাধ্য থাকেন। তিনি জ্ঞানে ও বয়সে এবং ঈশ্বর ও মনুষ্যের নিকটে
অনুগ্রহে বৃদ্ধি পেতে থাকেন। হ্যাঁ তার বাল্যকাল থেকে, যীশু উত্তম উদাহরন স্থাপন করেন
কেবল আত্মিক বিষয়ের প্রতি নয় কিন্তু তার পিতামাতার প্রতি বাধ্যতার ক্ষেত্রেও।
লূক ২:৪০-৫২; ২২:৭;