Friday, January 30, 2015

Jerusalem at jesus and Preceptor .

daily-bible-bd.blogspot.com
যিরূশালেমে যাত্রাগুলি
বসন্তকাল এসে গেছে। আর এই সময়, যোষেফ ও তার পরিবার তাদের বন্ধু ও আত্মীয়দের সাথে, যিরূশালেমে বাৎসরিক বসন্তকালীন যাত্রা করেন নিস্তারপর্ব পালন করতে। তারা বের হচ্ছেন প্রায় ১০০ কিলোমিটার যাত্রার জন্য, ও যাত্রার নিয়মিত উত্তেজনাগুলিও আছে। যীশু এখন ১২ বৎসরের, আর তিনি সেই উৎসবের দিকে বিশেষ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন।
যীশু ও তার পরিবারের কাছে, নিস্তারপর্ব কেবল একদিনের ব্যাপার নয়। তারা আরও সাতদিন থাকেন তাড়ীশূন্য রুটির পর্বের জন্য, যা তারা মনে করেন নিস্তাপর্ব কালের অঙ্গ হিসাবে। সেইজন্য তাদের বাড়ি নাসরৎ থেকে , যিরূশালেমে যাত্রা ও সেখানে থাকা, প্রায় দুই সপ্তাহ নেয়। কিন্তু এই বৎসর, যেহেতু যীশুকে কেন্দ্র করে কিছু ঘটে, তা আরো বেশী সময় নেয়।
এই সমস্যা দৃষ্টিগোচর হয় যিরূশালেম থেকে ফিরে আসার সময়। যোষেফ ও মরিয়ম ধরে নেন যে যীশু আত্মীয় ও বন্ধুদের দলের মধ্যেই আছেন। কিন্তু যখন রাত হয় তাকে দেখতে পাওয়া যায় না, তখন তারা তাকে সহ-যাত্রীদের মধ্যে খুজতে থাকেন। তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। তাই যোষেফ ও মরিয়ম আবার যিরূশালেম ফিরে যান তাকে খুজতে।
প্রায় একটি পূর্নদিন তারা তাকে খোজেন, কিন্তু কোন ফল হয় না। দ্বিতীয় দিনও তারা তাকে খুজে পান না শেষে, তৃতীয় দিনে, তারা মন্দিরে যান । সেখানে , একটি ঘরে, তারা দেখেন যীশু ‍যিহূদী শিক্ষকদের সাথে বসে, তাদের কথা শুনেছেন ও তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন।
বৎস, আমাদের প্রতি এইরূপ ব্যবহার কেন করিলে? মরিয়ম জিজ্ঞাসা করেন। দেখ তোমার পিতা এবং আমি কাতর হইয়া তোমার অন্বেষণ করিতেছি।
যীশু আশ্চর্য্য হন যে তারা জানে না যে তাকে কোথায় খুজে পাওয়া যাবে। কেন আমার অন্বেষণ করিলে? তিনি জিজ্ঞাসা করেন। আমার পিতার গৃহে আমাকে থাকিতেই হইবে, ইহা কি জানিতে না?
যীশুর বোধগম্য হয় না যে কেন তার পিতামাতা ইহা জানে না । তারপর যীশু তার পিতামাতার সহিত ঘরে ফিরে যান ও তাদের বাধ্য থাকেন। তিনি জ্ঞানে ও বয়সে এবং ঈশ্বর ও মনুষ্যের নিকটে অনুগ্রহে বৃদ্ধি পেতে থাকেন। হ্যাঁ তার বাল্যকাল থেকে, যীশু উত্তম উদাহরন স্থাপন করেন কেবল আত্মিক বিষয়ের প্রতি নয় কিন্তু তার পিতামাতার প্রতি বাধ্যতার ক্ষেত্রেও।
লূক ২:৪০-৫২; ২২:৭;



Read More

Thursday, January 15, 2015

Jesus Early Family life.

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
যীশুর প্রথম দিকের পারিবারিক জীবন
যখন যীশু নাসরতে বড় হয়ে উঠেছিলেন, তখন তা ছোট, গুরুত্বপূর্ন নয় এমন একটি নগর ছিল। ইহার অবস্থান ছিল গালীল নামক এলাকার পাহড় অঞ্চলে, যা সুন্দর যিষ্রিয়েলের উপতাকা থেকে খুব দূরে নয়।
যখন যীশুকে, হয়ত দুই বৎসর বয়সে, মিশর থেকে যোষেফ আর মরিয়ম এখানে নিয়ে আসেন, সে তখন মরিয়মের একমাত্র সন্তান ছিল। কিন্তু বেশি দিনের জন্য নয়। এরপর যাকোব, যোষেফ, শিমোন ও যিহূদার জন্ম হয়, এবং মরিয়ম ও যোষেফ কন্যাদেরও জন্ম দেন। তাই দেখা যায়, যে কম করেও যীশুর ছয় জন ছোট ভাইবোন ছিল।
যীশুর অন্য আত্মীয়রাও আছেন। আমরা তার বড় মাসতুতো দাদা যোহনের কথা জানি, যিনি অনেক কিলোমিটার দূরে ‍যিহূদীয়াতে থাকেন। কিন্তু গালীলের কাছে শালোমী থাকতেন, যে মনে হয় মরিয়মের বোন। শালোমীর বিবাহ হয় সবদিয়ের সাথে, তাই তাদের দুই পুত্র, যাকোব ও যোহন, যীশুর মাসতুতো ভাই। আমরা জানি না যে, বড় হয়ে উঠার সময়, যীশু এদের সাথে অনেক সময় কাটাতেন কিনা, কিন্তু পরবর্ত্তী কালে এরা খুব ঘনিষ্ট সঙ্গীতে পরিণত হয়েছিলেন।
যোষেফকে তার বড় পরিবারের যত্ন নেবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হত। তিনি একজন সূত্রধর ছিলেন। যোষেফ যীশুকে তার নিজের পুত্র হিসাবে বড় করে তোলেন, তাই যীশুকে বলা হয়, সূত্রধরের পুত্র ।  যোষেফ যীশুকে একজন সূত্রধর হতে তালিম দেন, আর তিনি তা ভালভাবেই শেখেন। সেই জন্য পরে লোকেরা যীশুর সম্বন্ধে বলে, এই সেই সূত্রধর।
যোষেফের পরিবারের জীবনযাত্রা ঈশ্বরের উপাসনার চারিদিকে কেন্দ্রীভূত ছিল। ঈশ্বরের আইনের সাথে মিল রেখে, যোষেফ ও মরিয়ম তাদের ছেলেমেয়েদের আত্মিক শিক্ষা দেন, গৃহে বসিবার কিম্বা পথে চলিবার সময় এবং শয়ন কিম্বা গাত্রোথান কালে। নাসরতে একটি সামাগৃহ আছে,আর আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে যোষেফ নিয়মিত তার পরিবারকে সেখানে নিয়ে যান উপাসনার জন্য।আর কোন সন্দেহ নেই যে নিয়মিত যিরূশালেমে ঈশ্বরের মন্দিরে যাওয়া তাদের সব থেকে আনন্দের কারন ছিল।
মথি ১৩:৫৫,৫৬; ২৭:৫৬; মার্ক ১৫:৪০; ৬:৩. দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬-৯.
প্রশ্নঃ
  • কমপক্ষে যীশুর আরো কতজন ছোট ভাই ও বোন আছে, আর তাদের কয়েক জনের নাম কি?
  • যীশুর তিনজন অতি পরিচিত মাসতুতো ভাই কারা?
  • কি পেশা যীশু নেন, এবং কেন?
  • কি বিশেষ শিক্ষা যোষেফ তার পরিবারকে দেন?

Read More

Their one from the Desertion.

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
এক উৎপীড়কের নিকট থেকে পলায়ন
যোষেফ মরিয়মকে ঘুম থেকে জাগান যাতে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দিতে পারেন। ঈশ্বরের দূত সবেমাত্র তার কাছে আবির্ভূত হয়, এবং বলে; উঠ ‍শিশুটিকে ও তাহার মাতাকে লইয়া মিশরে পলায়ন কর, আর আমি যতদিন না বলি, ততদিন সেখানে থাক; কেননা হেরোদ শিশুটিকে বধ করিবার জন্য তাহার অনুসন্ধান করিবে।
তাড়াতাড়ি, তারা তিনজন পলায়ন করেন। আর ঠিক সময় তা তারা করেন কারন হেরোদ জানতে পেরেছে যে জ্যোতিষীরা তার সাথে চালাকি করে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। স্মরণে থাকতে পারে, যে তারা যখন যীশুকে খুজে পাবে তাদের ফিরে এসে সংবাদ দেওয়ার কথা ছিল। হেরোদ ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়। যাতে সে যীশুকে হত্যা করতে পারে,সে আদেশ দেয় বৈৎলেহেমে ও তার পরিসীমার মধ্যে যত দুই বৎসর ও তার অল্পবয়সের বালক আছে তাদের যেন হত্যা করা হয়। বয়সের এই সীমা সে নির্ধারণ করে পূর্ব দেশ থেকে আসা সেই জ্যোতিষীদের নিকট থেকে যে তথ্য পেয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে।
এই শিশু পুত্রদের হত্যা দেখা এক ভয়ানক দৃশ্য। হেরোদের সৈন্যরা একের পর এক গৃহ ভেঙ্গে প্রবেশ করে। আর যখন তারা পুত্র শিশু সন্তান দেখতে পায়, তারা তাকে তাদের মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়। আমরা জানি না কত শিশুদের তারা হত্যা করে, কিন্তু মায়েদের অত্যন্ত রোদন ও হাহাকার বাইবেলে ঈশ্বরের ভাববাদী যিরমিয়ের ভবিষ্যদ্ববানী পূর্ন করে।
এরমধ্যে যোষেফ ও তার পরিবার নিরাপদে মিশরে পৌঁছে গেছেন, আর তারা এখন সেখানে বাস করেন। কিন্তু এরপর একদিন রাত্রে ঈশ্বরের দূত আবার যোষেফের কাছে স্বপ্নদর্শনে আবির্ভূত হয়। উঠ শিশুটিকে ও তাহার মাতাকে লইয়া, দূত বলেন, ইস্রায়েল দেশে যাও কারন যাহারা শিশুটিকে প্রাণনাশের চেষ্টা করিয়াছিল তাহারা মরিয়া গিয়াছে। তাই বাইবেলের আর এক ভাববাণীর পূর্ণতাস্বরূপ যা বলে ঈশ্বরের পুত্রকে মিশর থেকে ডাকা হবে, সেই পরিবার তাদের স্বদেশে ফিরে আসেন।
যোষেফ চান যেন তারা যিহূদীয়ায় বাস করেন, যেখানে তারা বৈৎলেহেমে বাস করতেন মিশরে পলায়নের পূর্বে। কিন্তু তিনি জানতে পারেন যে হেরোদের দুষ্ট পুত্র আর্খিলায় এখন যিহূদার রাজা, এবং আরে একটি স্বপ্নে ঈশ্বর তাকে এই বিষয়ে সতর্ক করেন। তাই যোষেফ ও তার পরিবার উত্তরদিকে গালীলের নাসরৎ নগরে বসবাস করতে শুরু করেন। এইখানে এই লোকসমাজে,যিহুদী ধর্মীয় জীবনের কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে , যীশু বেড়ে ওঠেন।
মথি ২:১৩-২৩; যিরমিয় ৩১:১৫; হোশেয় ১১:১.
প্রশ্নঃ
  • যখন জ্যোতিষীরা ফেরৎ এলনা, কি ভয়ানক কাজ রাজা হেরোদ করে, কিন্তু যীশু কিভাবে রক্ষা পান?
  • যখন যোষেফ মিশর থেকে ফিরে আসেন, কেন তিনি আর বৈৎলেহেমে থাকেন নি?
  • এই সময়ে বাইবেলের ভাববাণীগুলি পূর্ণ হয়?

Read More

Thursday, January 8, 2015

Jesus and the astrologer.

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
যীশু এবং সেই জ্যোতিষীগণ
কিছু সংখ্যক লোক পূর্বদেশ থেকে আসলেন। তারা জ্যোতিষী--- যারা দাবি করেন যে তারা নক্ষত্র গণনা করতে পারেন। যখন তারা পূর্বদিকে তাদের গৃহে ছিলেন, তারা একটি নূতন নক্ষত্র দেখতে পান, এবং তারা সেই নক্ষত্রকে অনুসরন করে অনেক শত কিলোমিটার পার হয়ে যিরূশালেমে পৌঁছালেন।
যখন এই জ্যোতিষীগন যিরূশালেমে পৌঁছান, তারা জিজ্ঞাসা করেন: যিহুদীদের যে রাজা জন্মিয়েছেন, তিনি কোথায়? কারন আমরা পূর্বদেশে তাহার তারা দেখিয়াছি, ও তাহাকে প্রণাম করিতে আসিয়াছি।
যখন রাজা হেরোদ যিরূশালেমে এই কথা শোনেন, তিনি খুব উদ্বিগ্ন হন। তাই তিনি প্রধান যাজকদের ডেকে পাঠান এবং জিজ্ঞাসা করেন খ্রীষ্ট কোথায় জন্মাবে। শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে, তাদের উত্তরে তারা বলে: বৈৎলেহেমে। তখন, হেরোদ জ্যাতিষীদের তার কাছে ডেকে পাঠন  ও বলেন: তোমরা গিয়া বিশেষ করিয়া সেই শিশুর অন্বেষণ কর: দেখা পাইলে আমাকে সংবাদ দিও, যেন আমিও গিয়া তাহাকে প্রণাম করিতে পারি। আসলে , কিন্তু হেরোদ সেই সন্তানটির সন্ধান পেতে চায় তাকে হত্যা করার জন্য।
তারা চলে যাবার পর, আশ্চর্য্য কিছু ঘটনা ঘটে। যে তারাটি তারা পূর্বদেশে দেখেছিল তা তাদের অগ্রে যাত্রা করতে আরম্ভ করে। ইহা পরিষ্কার, যে ইহা কোন সাধারণ তারা নয়, কিন্তু তাহা বিশেষ করে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিচালনার জন্য। সেই জ্যোতিষীগণ তাহা অনুসরন করে যতক্ষন না ঠিক সেই স্থানের উপর এসে থামে যোষেফ ও মরিয়ম যেখানে ছিলেন।
যখন সেই জ্যোতিষীরা ঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় মরিয়মকে ও তার ছোট সন্তান, যীশুকে। তখন তারা সকলে তার সামনে প্রণিপাত করে। আর তারা তাদের থলি থেকে বার করে উপহারস্বরূপ সোনা, কুন্দুরু, ও গন্ধরস দিল। এরপর যখন তারা ফিরবে এবং হেরোদকে সংবাদ দেবে পুত্র সন্তানটি কোথায়, ঈশ্বর স্বপ্নের মাধ্যমে তাদের সতর্ক করেন তা না করতে। তাই তারা তাদের দেশের জন্য রওনা হয় অন্য পথ দিয়ে।
জ্যোতিষীদের পরিচালনা করতে আকাশে সেই কে দিয়েছিল বলে আপনার মনে হয়? স্মরণ করুন, সেই তারা তাদের সরাসরি বৈৎলেহেমে যীশুর কাছে পরিচালিত করেনি। কিন্তু তাদের পরিচালিত করে নিয়ে আসে যিরূশালেমে যেখানে তারা রাজা হেরোদের সংস্পর্শে আসে, যে যীশুকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আর সে তাই করত যদি না ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করে সেই জ্যোতিষীদের সাবধান করতেন যে তারা যেন হেরোদকে না বলে যে যীশু কোথায় আছেন। সে ছিল  ঈশ্বরের শত্রু শয়তান ‍দিয়াবল, যে যীশুকে হত্যা করতে চেয়েছিল, আর সে সেই তারা ব্যবহার করেছিল তার সেই উদ্দেশ্যকে সফল করার চেষ্টায়। মথি ২:১-১২; মীখা ৫:২.
প্রশ্নঃ
  • কি দেখে জ্যোতিষীরা যে তারা দেখেছিল তা কোন সাধারন তারা নয়?
  • যখন জ্যোতিষীরা যীশুকে খুজে পায় তখন তিনি কোথায়?
Read More

The promised child.


http://daily-bible-bd.blogspot.com/
প্রতিজ্ঞাত সন্তান
নাসরৎ ফিরে না এসে, যোষেফ এবং মরিয়ম বৈৎলেহমে থাকেন। আর যখন যীশুর আট দিন বয়স, তারা ত্বকছেদ করেন, যেমন ঈশ্বর-দত্ত মোশির আইন আজ্ঞা করে। আর রীতি অনুসারে সন্তানের নাম করন হয় অষ্টম দিনে। তাই তারা তাদের সন্তানের নাম দেন যীশু, যেমন গাব্রিয়েল দূত আগে থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একমাসের বেশি অতিবাহিত হয়, আর যীশু তখন ৪০ দিনের। আর পিতা মাতা তাকে এবার কোথায় নিয়ে যান? যিরূশালেমের মন্দিরে, যা তারা যেখানে অবস্থান করেছিলেন সেখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। মোশিকে দত্ত ঈশ্বরের আইন অনুসারে, পুত্র সন্তান জন্ম দেবার ৪০ দিন পরে, একজন মাকে গিয়ে মন্দিরে শুচি হবার জন্য উৎসর্গ প্রদান করতে হত।
মরিয়ম তাই করেন। তার উৎসর্গ হিসারে, তিনি ছোট দুইটি পাখি নিয়ে আসেন। ইহা যোষেফ ও মরিয়মের আর্থিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে কিছু প্রকাশ করে। মোশির আইনে বলা হয় যে মেষবৎস, যাহা পাখির থেকে অনেক মূল্যবান, তাহা উৎসর্গ করতে।  কিন্তু যদি একজন মা তা না করতে পারে, তাহলে দুইটি ঘুঘু কিম্বা দুইটি কপোতশাবক যথেষ্ট।
মন্দিরে একজন বৃদ্ধ যীশুকে নিজ কোলে নিলেন। তার নাম শিমিয়োন। ঈশ্বর তার কাছে প্রকাশিত করেছিলেন যে তিনি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত খ্রীষ্ট, অথচ মশীহকে না দেখে মারা যাবেন না। শিমিয়োন যখন এই দিন মন্দিরে আসেন, পবিত্র আত্মার পরিচালিত হয়ে তিনি যোষেফ ও মরিয়মের শিশুটির কাছে যান।
শিমিয়োন যীশুকে ধরে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেন, এই বলে, হে স্বামিন,  এখন তুমি তোমার বাক্যানুসারে তোমার দাসকে শান্তিতে বিদায় করিতেছ, কেননা আমার নয়নযুগল তোমার পরিত্রান দেখিতে পাইল; যাহা তুমি সকল জাতির সম্মুখে প্রস্তুত করিয়াছ, পরজাতিগনের প্রতি প্রকাশিত হইবার জ্যোতি ও তোমার প্রজা ইস্রায়েলের গৌরব।
যোষেফ ও মরিয়ম ইহা শুনে আশ্চার্য্য হন। তখন শিমিয়োন তাহাদের আর্শীবাদ করেন এবং মরিয়মকে বলেন যে তার পুত্র ইস্রায়েলের মধ্যে অনেকের পতন ও উথ্যানের নিমিত্তে আর সেই দুঃখ, ঠিক যেন এক খড়গের আঘাতের মত, মরিয়ামের প্রাণকে বিদ্ধ করবে।
এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৮৪ বৎসর বয়স্কা ভাববাদিনী হান্না। যিনি মন্দির থেকে কখনই প্রস্থান করতেন না। সেই সময় তিনি কাছে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেন এবং যীশুর সম্বন্ধে কথা বলেন যারা শুনবে তাদের সকলের কাছে। যোষেফ ও মরিয়ম এই মন্দিরের ঘটনাগুলি দ্বারা কি আনন্দিতই না হলেন। অবশ্যই, এই সকল ঘটনা তাদের নিশ্চয়তা দেয় যে সন্তানটি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত সেই জন্য। লূক ২:২১-৩৮; লেবীয়পুস্তক ১২:১-৮.


প্রশ্নঃ
  • ইস্রায়েলের রীতি অনুসারে কখন এক বালক সন্তানকে তার নাম দেওয়া হত?
  • যখন তার পুত্র ৪০ দিনের তখন একজন ইস্রায়েলীয় মাকে কি করতে হত, এবং যেভাবে এই চাহিদা পূর্ণ করা হয় তা মরিয়মকে আর্থিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে কি জানায়?
  • কারা এই উপলক্ষে যীশুকে সনাক্ত করেন, এবং কিভাবে তারা তা প্রদর্শন করেন?
Read More

Where and when Jesus was born?

daily-bible-bd.blogspot.com
যীশুর জন্ম----কোথায় এবং কখন?
রোমীয় সম্রাট কৈসর আগস্ত এই আদেশ জারি করেন যে প্রত্যেককে তার নিজের নগরে গিয়ে নাম লেখাতে হবে। তাই যোষেফ তার জন্মস্থান, বৈৎলেহেম নগরে যাত্রা করলেন।
বৈৎলেহেম তখন অনেক লোক নাম লেখাতে এসেছে, আর একমাত্র থাকার জায়গা যা যোষেফ ও মরিয়ম পান তা হল একটি আস্তাবল। এখানে, যেখানে গাধা ও অন্যান্য পশু থাকে, যীশু জন্ম নেন। মরিয়ম তাকে কাপড়ের টুকরো জড়িয়ে যাবপাত্রে শুইয়ে রাখেন , ইহা এমন পাত্র যাতে পশুর খাবার রাখা হয়।
নিশ্চয় ঈশ্বরের পরিচলনার দ্বারা আগস্ত কৈসর এই নাম লেখাবার আইন করেন। ইহাই সম্ভবপর করে যেন যীশু বৈৎলেহমে জন্ম নেন, যে নগরের কথা শাস্ত্র বহু পূর্ব থেকে ভাববাণী করে রেখেছিল সেই প্রতিজ্ঞাত শাসকের জন্মস্থান হবে বলে।
কি গুরুত্বপূর্ন রাতই না ইহা। বাইরে মাঠে মেষপালকদের চারিদিকে উজ্জ্বল আলো দেখা দেয়। ইহা ঈশ্বরের প্রতাপ! আর ঈশ্বরের দূত তাদের বলেন; ভয় করিও না ,কারন দেখ! আমি তোমাদের মহানন্দের সুসমাচার জানাইতেছি, সেই আনন্দে সমুদয় লোকেরই হইবে, কারন অদ্য দায়ূদের নগরে, তোমাদের জন্য ত্রানকর্ত্তা জন্মিয়েছেন, তিনি খ্রীষ্ট প্রভু। আর তোমাদের জন্য ইহাই চিন্হ : তোমাদের দেখিতে পাইবে একটি শিশু কাপড়ে জড়ান ও যাবপাত্রে শয়ান রহিয়াছে। হঠাৎ আরও দূতের আবির্ভূত হয় ও গান করে: ঊর্দ্ধলোকে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে প্রীতিপাত্র মানুষের মধ্যে শান্তি।
যখন দূতেরা চলে যায়, তখন মেষপালকেরা একজন অপর জনকে বলে; চল আমরা, একবার বৈৎলেহেমে যাই ও যে ব্যাপার ঈশ্বর আমাদের জানাইলেন, তাহা গিয়া দেখি। তারা তাড়াতাড়ি যায় এবং যীশুকে ঠিক সেইখানে দেখতে পায় যেখানে দূত বলেছিল তারা দেখতে পাবে। যখন মেষপালকেরা বর্ণনা করে দূত তাদের কি বলেছে; সকলে যারা শোনে আশ্চর্য্য হয়। মরিয়ম এইসব যতপূর্বক মনে রাখে ও এই কথাগুলি তার হৃদয়কে আনন্দ দেয়।
প্রশ্নঃ
  • কেন যোষেফ ও মরিয়ম বৈৎলেহমে যাত্রা করেন?
  • যীশু যে রাত্রিতে জন্ম নেন কি অপূর্ব ঘটনা ঘটে?

Read More

Unmarried but pregnant.

বিবাহিত নয় অথচ গর্ভবতী
মরিয়ম গর্ভাবস্থার ইহা হল তৃতীয় মাস। আপনার হয়ত মনে থাকতে পারে যে তার গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে তিনি ইলিশাবেতের সঙ্গে ছিলেন, এখন তিনি নাসরতে ফিরে এসেছেনে। খুব শীঘ্রই তার অবস্থার কথা তার নগরের সবাই জানতে পারবে। সেই কারনে, তিনি এক সমস্যাপূর্ন পরিস্থিতিতে আছেন।
পরিস্থিতি আরও জটিল এই কারনে যে মরিয়ম যোষেফ নামক এক ছুতোর মিস্ত্রীর সাথে বিবাহের জন্য বাগদত্তা ছিলেন। আর তিনি জানতেন , যে ইস্রায়েলকে প্রদত্ত ঈশ্বরের আইন অনুসারে, যে স্ত্রীলোক বাগদত্তা ও সেচ্ছায় অন্য পুরুষের সাথে যৌনসংগমে লিপ্ত হয় তাকে পাথর ‍দিয়ে মেরে ফেলা হবে। কিভাবে সে তার গর্ভাবস্থার কথা যোষেফকে বোঝাবে?
যেহেতু মরিয়ম তিন মাস ছিলেন না,তাই আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে যোষেফ তাকে দেখার জন্য খুব উৎসুক। যখন তাদের দেখা হয়, হয়ত তখন মরিয়ম এই সংবাদ তাকে বলেন। তিনি হয়ত তার সাধ্যমত বোঝাবার চেষ্টা করেছেন যে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তার গর্ভ ধারন হয়েছে। কিন্তু যেমন আপনি চিন্তা করতে পারেন, ইহা বিশ্বাস করা যোষেফের জন্য খুবই কষ্টকর।
যোষেফ অবগত আছেন যে মরিয়মের সুনাম আছে। আর তিনি তাকে খুব ভালবাসেন যাই হোক, তিনি যাই বলুন না কেন , ইহাই মনে হয় যে ‍তিনি কোন পুরুষের দ্বারাই গর্ভবতী। ইহা সত্ত্বেও, যোষেফ চান না যে তাকে পাথর ‍দিয়ে মেরে ফেলা হোক বা জনসাধারণের কাছে তার অপমান হোক। তাই তিনি ঠিক করেন যে গোপনে বিবাহ বিচ্ছেদ করবেন। তখনকান দিনে যারা বাগদত্তা ব্যক্তি তাদের বিবাহিত বলে ধরে নেওয়া হত , এবং সেই সম্পর্ক শেষ করার জন্য দরকার হতো বিবাহ বিচ্ছেদ।
পরে যোষেফ এই বিষয় চিন্তা করতে করতেই ঘুমাতে যান। ঈশ্বর এক দূত তার কাছে স্বপ্নে আসেন ও বলেন ; তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহন করিতে ভয় করিও না, কেননা তাহার গর্ভে যাহা জন্মিয়াছে, তাহা পবিত্র আত্মা হইতে হইয়াছে। আর তিনি প্রত্র প্রসব করিবেন , এবং তুমি তাহার নাম যীশু রাখিবে; কারন তিনি আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রান করিবেন।
যখন যোষেফ ঘুম থেকে ওঠেন , তিনি কত কৃতজ্ঞই না হন। আর দেরি না করে দূত যাহা তাকে বলেন তাই তিনি করেন। তিনি মরিয়মকে তার গৃহে নিয়ে যান। জনসাধারনে এই কাজ বাস্তাবপক্ষে, বিবাহ উৎসবই, কারন তা সরকারী ভাবে জানিয়ে দিল, যে যোষেফ ও মরিয়ম এখন বিবাহিত। কিন্তু মরিয়ম যতদিন যীশুকে নিয়ে গর্ভবতী থাকেন ততদিন যোষেফ তার সাথে যৌন মিলন করেননি।
দেখুন ! মরিয়ম সন্তান প্রসবের ভারে দেহে খুব ভারী হয়েছেন, তবুও যোষেফ তাকে গাধার উপর বসাচ্ছেন। তারা কোথায় যাচ্ছেন , এবং কেনই বা তারা এই যাত্রা করেছেন যখন মরিয়মের প্রসব করার জন্য সময় হয়ে গেছে?    লূক ১:৩৯-৪১,৫৬; মথি ১:১৮-২৫; দ্বিতীয় বিবরণ ২২:২৩,২৪.
http://daily-bible-bd.blogspot.com/

প্রশ্নঃ
  • যোষেফের মানসিক পরিস্থিতি কিরূপ ছিল যখন তিনি মরিয়মের গর্ভবস্থার কথা জানতে পারেন, এবং কেন?
  • যোষেফ কি করে মরিয়মের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন যথন তারা বিবাহিত নন?
  • জনসাধারণের সামনে কি কাজ যোষেফ ও মরিয়মের বিবাহ উৎসব ঘোষণা করল?
Read More

The way of the manufacturer.

পথ প্রস্তুতকারকের জন্ম
ইলিশাবেতের বাচ্চা প্রসব করার সময় প্রায় হয়ে গেছে। গত তিন মাস ধরে, মরিয়ম তার সাথে ছিল। কিন্তু এখন সময় উপস্থিত যখন মরিয়মকে বিদায় নিয়ে নাসারতে বাড়ি ফেরার লম্বা যাত্রা শুরু করতে হরে। আর ছয় মাস পরে তারও বাচ্চা হবে।
মরিয়ম চলে যাবার কিছু পরে, ইলিশাবেতের সন্তান প্রসব হয়। কি আনন্দ হয় যখন প্রসব ঠিক মত হয় এবং ইলিশাবেৎ ও সন্তানটি উভয় উত্তম স্বাস্থ্যে থাকে। যখন ইলিশাবেৎ সেই ছোট সন্তানটিকে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের দেখান, তারা সকলে আনন্দ করে তার সাথে।
জন্মাবার অষ্টম দিনে, ঈশ্বরের নিয়ম অনুসারে, ছোট পুত্র সন্তানকে ইস্রায়েলে অবশ্যই ত্বকছেদ করা হত। এই উপলক্ষ্যে বন্ধু ও আত্মীয়রা সকলে পরিদর্শনে আসে। তারা বলে যে বাচ্চাটিকে তারা পিতা, সখরিয়ের নামে নাম করণ করা হোক। কিন্তু ইলিশাবেৎ তখন বলে উঠেন।  না কখনও নয়। তিনি বলেন , তার নাম হবে যোহন। স্মরণ করুন এই নামই সেই সন্তানকে দেওয়া হবে গাব্রিয়েল দূত বলেছিলেন।
বন্ধুরা অবশ্য এর বিপক্ষতা করেন: আপনার গোষ্ঠির মধ্যে এই নামে কাহাকেও ডাকা হয় নাই। তখন তারা সঙ্কেতে জিজ্ঞাসা করে, কি নামে পিতা তার পুত্রকে ডাকতে চান। তিনি লেখার জন্য একটি লিপিফলক চান, সকলকে আশ্চয্য করে, তাতে লেখেন: ইহার নাম যোহন।
এর সাথে সখরিয়ের কথা বলার শক্তি আশ্চর্য্যভাবে ফিরে আসে। আপনার হয়ত স্মরনে থাকতে পারে যে তার কথা বলার শক্তি তিনি তখন হারান যখন দূত ঘোষণা করে যে ইলিশাবেতের পুত্র হবে ও তিনি তা বিশ্বস করেননি। তাই যখন সখরিয় কথা বলেন, সকলে যারা প্রতিবেশী তারা আশ্চর্য্য হয় ও নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে: এ বালকটি তবে কি হইবে?
তখন সখরিয় পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে, উল্লাসে বলেন : ধন্য প্রভুর ইস্রায়েলের ঈশ্বর, কেননা তিনি তত্ত্ববধান করিয়েছেন, আপন প্রজাদের জন্য মুক্তি সাধন করিয়েছে। আর আমাদের জন্য আপন দাস দায়ূদের কূলে পরিত্রাণের এক শৃঙ্গ উঠাইয়াছেন। এই পরিত্রাণের শৃঙ্গ, অবশ্যই প্রভু যীশু , ‍যিনি জন্মগ্রহন করবেন। তার দ্বারা , সখরিয় বলেন ঈশ্বর  আমাদিগকে এই বর দিবার জন্য, যে আমরা শত্রুগণের হস্ত হইতে নিস্তার পাইয়া, নির্ভয়ে সাধুতায় ও ধার্মিকতায় তাহার আরাধনা করিতে পারিব, তাহার সাক্ষাতে যারজ্জীবন করিতে পারিব।
তখন সখরিয় তার সন্তান, যোহন সম্বন্ধে ভাববাণী করেন, আর হে বালক তুমি পরাৎপরের ভাববাদী বলিয়া আখ্যাত হইবে, কারন তুমি প্রভুর সম্মুখে চলিবে, তাহার পথ প্রস্তুত করিবার জন্য, তাহার প্রজাদের পাপ মোচনে তাহাদিগকে পরিত্রাণের জ্ঞান দিবার জন্য। ইহা আমাদের ঈশ্বরের সেই কৃপাযুক্ত স্নেহহেতু হইবে, যাদ্বারা ঊর্দ্ধ হইতে ঊষা আমাদের তত্ত্বাবধান করিবে, যাহারা অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়ায় বসিয়া আছে, তাহাদের উপরে দীপ্তি দিবার জন্য, আমাদের চরন শান্তিপথে চালাইবার জন্য।
এই সময়ের মধ্যে মরিয়ম, যে এখনও অবিবাহিতা একজন নারী, তার গৃহ নাসরথে পৌছেছে। তার কি হবে যখন ইহা স্পষ্ট বোঝা যাবে যে সে গর্ভবতী ? লূক ১:৫৬-৮০; লেবীয়পুস্তক ১২:২,৩.
প্রশ্নঃ
1.    যীশুর থেকে যোহন কত বড়?
2.    যখন যোহন আট দিনের তখন কি ঘটে?
3.    কিভাবে ঈশ্বর তার দৃষ্টি তার লোকদের প্রতি ফিরিয়েছেন?
4.    যোহন কি কাজ করবেন ভাববাণী করা হয়?
Read More