Tuesday, March 17, 2015

serving was given a life of faith

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
দান করা হল বিশ্বাসীর জীবনের একটি পরিচর্যা
যে কোন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর জীবনে অন্যান্য পরিচর্যার মত দান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচর্যা। কারন এর মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি তার ভালবাসা, ভক্তি, বাধ্যতা ও সম্মান দেখানো হয়। তবে এটি ব্যবস্থার এমন কোন যোয়ালী নয় যে, না পারলেও তা বইতে হবে। এটা প্রত্যেক উপার্জনশীল ব্যক্তির একটা পবিত্র কর্তব্য ও গৌরবময় অধিকার। ২ করি ৯:৭ পদে পৌল বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সংকল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক, কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন। প্রভুর জন্য প্রত্যেক বিশ্বাসীর যে কিছু কর্তব্য আছে এ বোধ যখন হৃদয়ে জাগে, তখন তিনি ঈশ্বরকে না দিয়ে থাকতে পারেন না, তার হাতকেও বন্ধ করে রাখতে পারেন না। আমাদের উপার্জিত প্রতিটি টাকাই প্রভু যীশুর পাওনা, কারন তিনি মূল্য দিয়ে আমাদের কিনেছেন (১ করি ৬:২০)।

এ পৃথিবীতে আমাদের যা কিছু আছে তার মালিক ঈশ্বর (গীত ২৪:১)। আমরা অনেক সময় ভাবি, আমরা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করি, সুতরাং এ অর্থ আমাদের। এটি যেমন খুশী ব্যবহার করার অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে, ঈশ্বর যে কোন ব্যক্তিকে ধন সম্পত্তি দান করেন, তাহাকে তাহা ভাগ করিতে, আপন অংশ লইতে ও আপন পরিশ্রমে আনন্দ করিতে ক্ষমতা দেন, ইহাই ঈশ্বরের দান (উপদেশক ৫:১৯)। কে আমাদের দেহে শক্তি দেন? কে আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি দেন? কে আমাদের অর্থ উপার্জন করার ক্ষমতা বা দক্ষতা যোগান? সবই ঈশ্বর দেন। সবই তার অনুগ্রহের দান। তাই আমরা যদি তার রাজ্য ও ধার্মিকতাকে প্রথম স্থান না দিই, তাকে আমাদের আয়ের নিরূপিত অংশ (১০%) যদি না দিই, তাহলে তার প্রতি আমাদের অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ পায়। এজন্য শলোমন বলেছেন, তুমি সদাপ্রভুর সম্মান কর আপনার ধনে, আর তোমার সমস্ত দ্রব্যের অগ্রিমাংশে, তাহাতে তোমার গোলাঘর সকল বহু শস্যে পূর্ণ হইবে, তোমার কুন্ডে নূতন দ্রাক্ষারস উথলিয়া পড়িবে (হিতোপদেশ ৩:১০)। এটা বলতে লজ্জা নেই যে, অনেকের দান ২ টাকা, ৫ টাকা, ও ১০ টাকাতে সীমাবদ্ধ। গীর্জায় চাঁদা তোলার সময়ে অনেকে পকেট হাতড়ে সবচাইতে ছোট অংকের টাকা বের করে। মন্ডলীতে প্রভুর কাজের জন্য চাঁদা ধার্য হলে বা দশমাংশ দেবার কথা উঠলে সমালোচনা হয়, অনেক ওজর আপত্তি উত্থাপিত হয়। এ ধরনের বিশ্বাসীদের জীবন কখনই কোনদিন উচ্চস্তরে উঠতে পারেনা। তাদের কৃপণ তাই তাদের উপরে ওঠার বা উন্নতি লাভের পথ বন্ধ করে দেয়। তাই আমরা যদি দান করাকে একটি পরিচর্যা হিসেবে মনে করে থাকি তাহলে উদার চিত্তে হাত খুলে দান করতে হবে। এরকম দানের পরিচর্যার দৃষ্টান্ত বাইবেলে অনেক রয়েছে। যেমন পুরাতন নিয়মে বিধবার দান যিনি তার শেষ সম্বল একমুঠো ময়দা ও সামান্য একটু তেল যা ছিল তা দিয়ে একটা পিঠা বানিয়ে ঈশ্বরের ভাববাদীকে খাইয়েছিলেন (১ রাজাবলি ১৭ অধ্যায়) নূতন নিয়মে দরিদ্রা  বিধবা তার সর্বস্ব দুটি সিকি পয়সা ঈশ্বরের ভান্ডারে দান করেছিলেন ( লূক ২১:১-১৪), আর একটি যুবতি মেয়ে লাসারের বোন তার সব জমানো টাকা দিয়ে অত্যন্ত দামী আতর কিনে সব আতর যীশুর মাথায় ঢেলে দিয়েছিল ও তাকে অভিষেক করেছিল।
Read More

Sunday, March 15, 2015

Christian charity is based on our love for God.

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
Christian charity is based on our love for God.
খ্রীষ্টিয় দানের ভিত্তি হল ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালবাসা
দাতা ঈশ্বরকে আমরা যে কোন পরিমাণ বা মূল্যের দান দিইনা কেন, তা ভালবাসার মধ্য দিয়েই দেওয়া উচিত। ১ করি ১৩:৩ পদে লেখা আছে , আর যথা সর্বস্ব যদি দরিদ্রদিগকে খাওয়াইয়া দিই, এবং পোড়াইবার জন্য আপন দেহ দান করি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নাই। পিতা ঈশ্বরই প্রেম বা ভালবাসার দানের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন । যোহন ৩:১৬। কম্পাসের কাটার মুখে চুম্বক থাকে বলে সেটিকে যেদিকেই ঘুরানো যাকনা কেন কাটাটি সর্বদা উত্তর মেরুর দিকে মুখ করে থাকবে। কিন্তু যদি কাটার মুখে চুম্বক না থাকে, তাহলে কাটাটি অন্যদিকে মুখ করে থাকবে। তাই প্রকৃত বিশ্বাসীর জীবনে যদি সে ভালবাসার চুম্বকটি থাকে তাহলে অর্থ, বিত্ত, উচ্চপদ যা কিছুই তার জীবনে থাকুক না কেন, তার দৃষ্টি ঈশ্বর অভিমুখে থাকবে। এজন্য দায়ূদের গীত ৬২:১০ পদে বলেছেন, ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না। কারন তিনি জানতেন, এর ফলে তিনি ঈশ্বরকে ভুলে যাবেন বা স্খলিত হবেন। দ্বিঃ বিঃ ১৩:১৪ পদে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে বলেছিলেন, ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইলে, উত্তম গৃহে বাস করিলে, তোমার গো-মেষাদির পাল বৃদ্ধি পাইলে এবং তোমার সম্পত্তি বৃদ্ধি পাইলে তোমার চিত্তকে দর্পিত হইতে দিও না, এবং তোমার সদাপ্রভুকে ভুলিয়া যাইতে দিও না।

দাতা অপেক্ষা দানকে ভালবাসার পরীক্ষা প্রত্যেক বিশ্বাসীর জীবনেই এসে থাকে। ঈশ্বরের একজন ভক্ত মিশনারী আর্থার যুসন বলেছেন ঈশ্বর মূল্য দিয়া আমাদেরকে ক্রয় করেছেন, এই বিশ্বাস যখন জাগে, তখন আমাদের টাকা পয়সা সম্বন্ধীয় ধারণা গুরুতররূপে পরিবর্তিত না হইয়া পারে না। খ্রীষ্টিয় দানের ভিত্তি হল এখানেই। খ্রীষ্ট যে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধারের নিমিত্ত নিজের প্রাণ ক্রশে বলিদান করেছেন এটাই বিশ্বাসীর জীবনে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসার এক অপূর্ব অনুভূতি এনে দেয়। ঈশ্বরের এ ভালবাসার বিনিময়ে কেবল অর্থ-কেন, আমাদের সমগ্র জীবনপাত করলেও তা এমন বড় কিছু হয়না। তার অপরিমেয় ঋণ শোধ করার মত মানুষের কিছুই নেই। এখানে ধনী গরীবের কোন প্রশ্ন আসতে পারে না। তাই দানশীলতার আসল সমস্যা টাকা পয়সা বা ধনের অভাব নয়, কিন্তু ভালবাসার অভাব।
Read More

Thursday, March 12, 2015

The first sin.

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
প্রথম পাপ
এদন বাগান থেকে বের করে দেয়া
কিছু সময় আদম এবং হবা খুব শান্তিতে তাদের সুন্দর এদন বাগানে বাস করছিলেন। এক বন্ধু যেমন আর এক বন্ধুর সাথে কথা বলে তেমনি তারা ঈশ্বরের সাথে কথা বলতেন। ঈশ্বর যা বলতেন তাই তারা করতেন, খারাপ কিছু তারা জানতেন না।
তবু তাদের জানা দরকার ছিল যে, তাদের অবশ্যই সবসময় ঈশ্বরের আদেশ মেনে চলা উচিত। ঈশ্বর আদম এবং হবাকে বলেলন, কেবল একটি গাছের ফল ছাড়া, তোমরা এই বাগানের সকল গাছের ফল খেতে পার। কিন্তু এই গাছের ফল যদি খাও তবে তোমরা মারা যাবে। ঈশ্বরের সৃষ্ট প্রাণীদের মধ্যে সাপও ছিল। শয়তান, সেই দিয়াবল যে আমাদের প্রলোভনে ফেলে সে সাপের রূপ ধরে হবার কাছে গেল, যেন তাকে পাপে ফেলতে পারে।
শয়তান হবাকে বলল, তোমরা মরবে না। ঈশ্বর জানেন যে, যেদিন তোমরা এই ফল খাবে সেদিন তোমরা জ্ঞানী হবে এবং ভাল মন্দ জানতে পারবে।
হবা সাপের কথা শুনলেন। তিনি ফলটার দিকে তাকালেন, ভাবলেন, না জানি কি মজা হবে, আর সেটা খেয়ে কতই না জ্ঞানী হবেন। ঈশ্বরের আদেশকে অবহেলা করে সেই ফল পেড়ে তিনি খেলেন। পরে তিনি আদমকে অর্থাৎ তার স্বামীকেও দিলেন এবং তিনিও খেলেন।
সেইদিন সন্ধ্যায় আদম এবং হবা যখন ঈশ্বরের গলার আওয়াজ শুনলেন তখন তারা আগের মত তার কাছে আসলেন না। তারা ভয়ে ভয়ে লুকাতে চেষ্টা করলেন।
তাদের অবাধ্যতার কারণে ঈশ্বর হবাকে বললেন, তুমি ব্যথায় কাতরাবে এবং কষ্ট পাবে, তোমার স্বামী তোমার উপরে খবরদারি করবে। আদমকে তিনি বললেন, যেহেতু তুমি তোমার স্ত্রীর কথা শুনে অবাধ্য হয়েছ, সেহেতু তুমি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করবে, কাঁটা ও আগাছার মধ্যে পরিশ্রম করবে। ঈশ্বর সাপকেও অভিশাপ দিলেন।
আদম ও হবা তাদের সুন্দর বাগানে থাকতে পারলেন না। ঈশ্বর তাদের বের করে দিলেন এবং বাগানে ঢোকার পথে স্বর্গদূতদের পাহারায় রাখলেন এবং ঝুলিয়ে রাখলেন জ্বলন্ত তলোয়ার।
আদিপুস্তক ৩।

যেমন একজন মানুষের অবাধ্যতার মধ্যদিয়ে অনেককেই পাপী বলে ধরা হয়েছিল, তেমনি একজন মানুষের বাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে। (রোমিও ৫:১৯)
Read More

Monday, March 9, 2015

Adam and Eve.

http://daily-bible-bd.blogspot.com/আদম ও হবা
প্রথম পুরুষ মানুষ এরং জীবন্ত সবার মা

সৃষ্টির যষ্ঠ দিনে ঈশ্বরের সৃষ্ট জগত খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। মাঠ ছিল সবুজ আর সবুজে ভরা, চারিদিক ফুলে ফলে সাজানো, বন জঙ্গলসহ সব জায়গায় পশুপাখির কলকাকলী। আহা কি সুন্দর।
কিন্তু পৃথিবীর কোথাও কোন মানুষ ছিল না; ছিল না ঘরবাড়ি, ক্ষেতখামার, শহরবন্দর। গাছতলায় কোন ছেলেমেয়েদের খেলতে দেখা যেত না। পৃথিবী তখন নারী ও পুরুষের আনন্দ উপভোগের জন্য প্রস্তুত ছিল।
ঈশ্বর বললেন, চল আমরা আমাদের মত করে মানুষ তৈরি করি। তার জীবন থাকবে এবং সে পৃথিবীর সবকিছু দেখাশোনা করবে।
এরপর ঈশ্বর পৃথিবী থেকে কিছু মাটি নিলেন তা দিয়ে একজন পুরুষ মানুষ বানালেন। তিনি ফুঁ দিয়ে তাতে প্রান দিলেন; এতে মানুষ জীবন্ত প্রানী হল। ঈশ্বর এই প্রথম পুরুষ মানুষটির নাম রাখলেন আদম।
মানুষের বাসস্থান তৈরি করার জন্য ঈশ্বর এদন দেশে একটা সুন্দর বাগান তৈরি করলেন। সেখানে ছিল মিষ্টি জলের নদী যা এক দিক থেকে আর এক দিকে বয়ে গেছে। আদমকে বলা হল যেন এই বাগানের দেখাশোনা করেন। এরপর ঈশ্বর সব পশুপাখিকে আদমের সামনে নিয়ে আসলেন যেন তিনি তাদের প্রত্যেকটার নাম দেন । আদম দেখলেন প্রত্যেক পশুপাখি থেকে দুটো করে উপস্থিত হয়েছিল।
কিন্তু ‍তিনি লক্ষ্য করলেন যে , এই নিখুত সুন্দর বাগানে তার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী ছিল না। ঈশ্বর তখন বললেন পুরুষ মানুষের জন্য একা থাকা ভাল নয়। আমি আদমের সংগে থাকার জন্য এবং তার সাহায্যকারী হবার জন্য আর একজনকে সৃষ্টি করব।
ঈশ্বর আদমকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করলেন, তারপর তিনি তার পাজর থেকে একটি হাড় নিলেন। এই হাড় দিয়ে তিনি একটি মেয়ে সৃষ্টি করলেন, আদম তার নাম দিলেন হবা। আদম এবং হবা একে অপরকে ভালবাসতেন। এদন বাগানের মধ্যে তারা খুব সুখে শান্তিতে ছিল, সেখানেই ঈশ্বর তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন।
আদিপুস্তক ১:২৬; ২



আমি তোমার প্রশংসা করি, কারণ আমি ভীষণ আশ্চর্যভাবে গড়া (গীতসংহিতা ১৩৯:১৪)
Read More

Friday, March 6, 2015

God of Wonders Creation.

ঈশ্বরের আশ্চর্য সৃষ্টি
http://daily-bible-bd.blogspot.com/মহান ঈশ্বরকে দিয়েই পবিত্র বাইবেলের শুরু। তিনি উপরে সুন্দর আকাশমন্ডল, নীচে আমাদের বাচার জন্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। একসময় সবকিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল, খুবই অন্ধকার। তখন কোন পশুপাখির রব কিংবা ফুট্ফুটে সুন্দর শিশুদের হাসিমাখা শব্দ শোনা যেত না।
তখন হঠাৎ একটি কন্ঠস্বর শোনা গেল, আলো হোক । অমনি আলো হয়ে গেল। চমৎকার আলো। ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন, আর নাম দিলেন দিন ও রাত। এ হল সর্বপ্রথম দিন।
দ্বিতীয় দিন, ঈশ্বর একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে শুরু করলেন। তিনি বাতাস থেকে জলকে আলদা করলেন। তখন নীল আকাশ দেখা দিল।
তৃতীয় দিন, ঈশ্বর সমস্ত জলকে সমুদ্রে, ঝর্ণায় ও নদীতে একত্র করে শুকানো জমি সৃষ্টি করলেন। তিনি সমতল ভূমি এবং পাহাড়-পর্বতকে ঘাস,ফুল,লতাপাতা ও গাছপালা দিয়ে ভরে দিলেন। গাছে গাছে এবং ঝোপঝাড়ে আম,জাম,কাঁঠাল,কুল,নারিকেল,জলপাই,আপেল,কমলা,কামরাঙা নানা ফল ধরতে শুরু করল।
চতুর্থ দিন, ঈশ্বর আকাশে হলুদ রঙের গোলাকার একটি জিনিস দিলেন। এটি হল সূর্য। সন্ধ্যে বেলায় উজ্জ্বল চাদঁ দেখা দিল, দেখা গেল অনেক তারা মিটমিট করে জ্বলছে।
পঞ্চম দিন, সবজায়গায় নানা শব্দ শোনা গেল। এ দিলে ঈশ্বর কী তৈরি করলেন? তৈরি করলেন আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখি, জলে সাতার কাটা মাছ। সেগুলো ছিল নানা আকারে নানা প্রকারে নানা রঙের। তিমি, গোল্ডফিস্, নীলপাখি, রাজহাস, উটপাখি ইত্যাদি হল ঈশ্বরের সৃষ্ট অনেক প্রানীর মধ্যে কয়েকটিমাত্র।
ষষ্ঠ দিন, পশুপাল, বুকে হাটা প্রাণী ছাড়া আরও অনেক প্রাণী দেখা গেল। বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ ইত্যাদির পাশাপাশি গরু, ঘোড়া, ভেড়া, কুকুর, বিড়াল এবং খরগোশও ঈশ্বর তৈরি করলেন। ঈশ্বর যে এদিনে সর্বপ্রথম পুরুষ মানুষও তৈরি করলেন, এগুলো ছিল তার জন্য জন্মদিনের আকর্ষণীয় উপহার। তুমি কি জানো সেই প্রথম পুরুষ মানুষের নাম কী? পরের গল্পে তুমি তার সম্পর্কে জানতে পারবে।
সপ্তম দিন, ঈশ্বর বিশ্রাম নিলেন। তিনি সেই দিনের নাম দিলেন পবিত্র দিন, কারন সেই দিন তিনি তার সব ভাল কাজ শেষ করলেন।
আদিপুস্তক ১;২:১-৩


বিশ্বাসের দ্বারাই আমরা বুঝতে পারি যে, ঈশ্বরের মুখের কথাতে এই পৃথিবী সৃষ্ট হয়েছিল। (ইব্রীয় ১১:৩)
Read More

Tuesday, March 3, 2015

Physical victory over temptation.

দৈহিক প্রলোভনের উপর জয়লাভ করা

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
মানুষ যখন ঈশ্বরের পথে থাকে তখন অনেক পাপ প্রলোভন মানুষের জীবনে আসে। শয়তান সব সময়ই মানুষকে ঈশ্বরের পথ থেকে বিচ্যুত করতে চায়। মানুষের এই সমস্ত পাপের মধ্যে দৈহিক পাপ হল একটি পাপ। দৈহিক পাপ হল দেহের বিরুদ্ধে পাপ করা। দৈহিক পাপের অনেকেই জয়লাভ করতে পারে না এবং খুব কম লোকই আছে যারা ঈশ্বরের নামে ও ধৈর্য্য সহকারে এই পাপের উপরে জয়লাভ করতে পারে।
পবিত্র বাইবেলে আমরা সবাই যোষেফের কথা জানি। পোটীফরের স্ত্রী যখন যোষেফকে খারাব প্রস্তাব দিয়েছিল তখন যোষেফ তা প্রত্যাখান করেছিলেন। এবং যোষেফ সেই খারাব প্রস্তাবে রাজ হয়নি। যোষেফ সেই পাপ থেকে বাইরে পালিয়ে এসেছিলেন। এভাবেই যোষেফ তার দেহের বিরুদ্ধে পাপ করলেন না। এর ফলশ্রুতিতে যোষেফকে জেলে বন্দী হতে হয়েছিল {আদিপুস্তক ৩৯:১-২১ পদ}।
একটি কথা আছে ‌
‍মন্দের জয় ক্ষণস্থায়ী। যোষেফের উপর সন্তুষ্ট ঈশ্বর, যোষেফ জেলে বন্দী থাকাকালীন সময়ে ঈশ্বর যোষেফের সহায় ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে পাই যে মহান ঈশ্বর যোষেফকে মহা পুরস্কার দিয়েছিলেন। যোষেফ মিশরের দাস থেকে হয়েছিলেন মিশরের মহান শাসনকর্তা {আদিপুস্তক ৪১:৩৭-৪৯}
যোষেফ সেদিন দৈহিক পাপ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বলেই ঈশ্বরের কাছ থেকে এই মহাপুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি যদি সেদিন দেহের পাপ করতেন তাহলে হয়তো তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এই পুরস্কার পেতেন না।
আমরা হয়তো অনেকেই সাধু বেনেডিক্টের কথা শুনেছি। একদিন সাধু বেনেডিক্ট একা ছিলেন, সেই সময়ে এক প্রলুব্ধকারী একটা পাখীর রুপ ধারণ করে তাঁর মুখের সামনে দিয়ে উড়তে লাগলো। পাখিটি এতো কাছ থেকে উড়ছিল যে তিনি সেই পাখিটিকে হাত দিয়ে অতি সহজেই ধরতে পারতেন। তখন তিনি ক্রুশ চিহ্ন করলেন আর পাখিটি উড়ে গেলো। যে মুহুর্তে পাখিটি উড়ে গেলো তখনই তিনি তীব্র এক প্রলোভনের সম্মুখীন হলেন। সেই অশুভ আত্মা এক নারীর কথা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিল, যে নারীকে তিনি পূর্বে দেখে ছিলেন। তিনি সচেতন হবার পূর্বেই সেই খারাব অনুভূতির স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এই সংগ্রামে পরাজিত হয়ে তিনি সেই স্থান ত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে তিনি ঈশ্বরের অনুগ্রহে তিনি তাঁর চেতনা ফিরে পেলেন। আর তখন তিনি তাঁর কাছাকাছি ঘন শেয়াল কাঁটার একটা ঝোপ লক্ষ করলেন। নিজ পোষাক পেলে তিনি সেই তীক্ষ্ণ কাঁটার ঝোপে ঝাঁপিয়ে পড়লেন; এবং সেই কাঁটাঝোপের উপরে গড়াগড়ি দিলেন যতক্ষণ না তাঁর সারা দেহ যন্ত্রণায় পূর্ণ হয়ে রক্তাক্ত না হল। এই কষ্টভোগের মধ্যে দিয়ে তিনি দৈহিক কামনার উপরে জয়লাভ করলেন, এবং তাঁর রক্তমাখা দেহের মধ্যে দিয়ে প্রলোভনের বীষ বেড়িয়ে গেলো। এভাবে দৈহিক যন্ত্রণাভোগ তাঁর দৈহিক কামনার আগুনকে সম্পূর্ণরুপে নিভিয়ে দিয়েছিল। এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে তিনি আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন।
বাইবেলে আমাদের দেহকে খ্রীষ্টের দেহ বলা হয়েছে:
তোমরা কি জান না, যে তোমাদের দেহ খ্রীষ্টের দেহের অংশ? তাহলে কি খ্রীষ্টের দেহের অংশ নিয়ে বেশ্যার দেহের সংগে যুক্ত করবে? কখনও না {১ করিন্থীয় ৬:১৬}।
পবিত্র বাইবেলে আরো বলা আছে যে আমাদের দেহ ঈশ্বরের থাকবার ঘর:
পবিত্র আত্মার থাকবার ঘরই হলো তোমারদের দেহ {১ করিন্থীয় ৬:৭}
বাস্তবিক এই দেহ হল ঈশ্বরের, এই দেহের মধ্যে ঈশ্বর বাস করেন। এই দেহকে তাই দৈহিক পাপের মধ্যে নয় বরং ঈশ্বরের গৌরবের জন্য ব্যবহার করা উচিত {১ করিন্থীয় ৬:২০}।
তাই আমাদের সমস্ত দৈহিক পাপ থেকে পালিয়ে যেতে হবে, ঠিক যেমনটি যোষেফ করেছিলেন। এই সমস্ত দৈহিক পাপের উপরে জয়লাভ করতে হলে আমাদের প্রয়োজন ঈশ্বরের কাছে অনবরত প্রার্থনা করা এবং পবিত্র শাস্ত্র অধ্যায়ন করা, এবং নিজের দেহকে ঈশ্বরের গৌরবের জন্য ব্যবহার করা।
ঈশ্বর সকলের প্রতি আশীর্বাদ করুন এবং সমস্ত দৈহিক পাপ প্রলোভনের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমেন।।
Read More

Friday, February 13, 2015

God's Word, the Holy Bible.

ঈশ্বরের বাক্য পবিত্র বাইবেল

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
বাইবেল হল খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেল শব্দটি এসেছে গ্রীক βιβλία শব্দ থেকে যার অর্থ ‍একটি পুস্তক
বাইবেল হলো ঈশ্বরের বাক্য:
পবিত্র শাস্ত্রের প্রত্যেকটি কথা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে এবং তা শিক্ষা, চেতনা দান, সংশোধন এবং সৎ জীবনে গড়ে উঠবার জন্য দরকারী। {২ তীমথিয় ৩:১৬}
১৫০০ বছরের ও বেশী সময় ধরে ৪০ জন লেখক এই বাইবেল লিখেছিলেন। এবং এই বাইবেল লেখার কাজ পরিচালনা করেছিলেন পবিত্র আত্মা:
নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেন নি; পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলেছিলেন। {২ পিতর ১:২১}
পবিত্র বাইবেলের প্রধান দুটি অংশ পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম। পুরাতন নিয়মের অধিকাংশ পুস্তক হিব্রু ভাষায় লেখা হয়েছে। দানিয়েল ও ইষ্রার কিছু অংশ অরামীয় ভাষায় লেখা হয়েছে। নতুন নিয়মের সব পুস্তকই গ্রীক ভাষায় লেখা হয়েছে। বাইবেল হল ৬৬ টি পুস্তকের একটি সংকলন।
*পুরাতন নিয়ম: পুরাতন নিয়মের পুস্তক সংখ্যা হল ৩৯ টি। এই পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলোকে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়।
১। ব্যবস্থা পুস্তক
২। ঐতিহাসিক পুস্তক
৩। কাব্যিক পুস্তক
৪।নবীদের পুস্তক
পুরাতন নিয়মের পুস্তকের শ্রেণীবিভাগ:
১। ব্যবস্থা পুস্তক (৫ টি)
 আদিপুস্তক
 যাত্রাপুস্তক
 লেবীয় পুস্তক
 গণনা পুস্তক
 দ্বিতীয় বিবরণ
২। ঐতিহাসিক পুস্তক (১২টি)
 যিহোশূয়
 বিচারকর্তৃগণের বিবরণ
 রুতের বিবরণ
 ১ শমূয়েল
 ২ শমূয়েল
 ১ রাজাবলি
 ২ রাজাবলি
 ১ বংশাবলি
 ২ বংশাবলি
 ইষ্রা
 নহিমিয়
 ইষ্টের
৩। কাব্যিক পুস্তক (৫টি)
 ইয়োব
 গীতসংহিতা
 হিতোপদেশ
 উপদেশক
 পরমগীত
৪। নবীদের পুস্তক (১৭ টি)
 যিশাইয়
 যিরমিয়
 বিলাপ
 যিহিস্কেল
 দানিয়েল
 হোশেয়
 যোয়েল
 আমোষ
 ওবেদিয়
 যোনা
 মীখা
 নহুম
 হবক্কূক
 সফনিয়
 হগয়
 সখরিয়
 মালাখী
*নতুন নিয়মের পুস্তক সংখ্যা হলো ২৭ টি। নতুন নিয়মের পুস্তকগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১। সুসমাচার।
২। প্রেরিত গণের কার্যাবলী
৩। পৌলের চিঠি
৪। অন্যান্য শিষ্যদের চিঠি
৫। ভাববাণী পুস্তক
১। সুমমাচার (৪টি)
 মথি
 মার্ক
 লূক
 যোহন
২। প্রেরিতদের কার্যাবলী (১টি)
 প্রেরিত্
৩। পৌলের চিঠি (১৩টি)
 রোমীয়
 ১ করিন্থীয়
 ২ করিন্থীয়
 গালাতীয়
 ইফিষীয়
 ফিলীপীয়
 কলসীয়
 ১ থিষলনীকীয়
 ২ থিষলনীকীয়
 ১ তীমথিয়
 ২ তীমথিয়
 তীত
 ফিলীমন
৪। অন্যান্য শিষ্যদের চিঠি (১টি)
 ইব্রীয়
 যাকোব
 ১ পিতর
 ২ পিতর
 ১ যোহন
 ২ যোহন
 ৩ যোহন
 যিহুদা
৫। ভাববানী পুস্তক (১টি)
 প্রকাশিত বাক্য
পবিত্র বাইবেলের সর্বমোট অধ্যায় হলো ১১৮৯ ও সর্বমোট পদ হলো ৩১,১০৩। এর মধ্যে পুরাতন নিয়মের অধ্যায় ৯২৯ ও পদ ২৩১৪৫ এবং নতুন নিয়মের অধ্যায় ২৬০ ও পদ ৭৯৫৮।পৃথিবীর মোট ২৭৯৮ টি ভাষায় পবিত্র বাইবেল রয়েছে।
১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে ইংল্যান্ডের জন ওয়াইক্লিফ সর্বপ্রথম ইংরেজীতে পবিত্র বাইবেল অনুবাদ করেন। তিনি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন বলে ধর্মীয় নেতারা তাকে নির্যাতন করেছিলেন।
পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুদ্রিত বাইবেল হল গুটেনবার্গ বাইবেল।
পবিত্র বাইবেল হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বই। সাধারণত কোন বইয়ের প্রাচীন হওয়ার সুযোগ থাকে না। উহারা অনেক ভঙ্গুর। আগুন তাদের পুড়িয়ে ফেলে, পানি তাদের বিলুপ্ত করে দেয়, পোকা-মাকড় তাদের খেয়ে ফেলে এবং অসতর্ক আঙ্গুল তাদের ছিঁড়ে ফেলে। বাইবেল সম্পূর্ণভাবে প্রায় দুই হাজার বছরের পুরাতন। এর কিছু অংশ দুগুন বেশী সময়ের। পৃথিবী অন্যকোন পুস্তকের সাথে এবর তুলনা করা যাবে না। বাইবেলের এই বয়সই এর স্থায়িত্বকাল এবং অবিনশ্বতার প্রকাশ করে। বাইবেল হলা একটি মহাগ্রন্থ।
বাইবেলকে মানুষের দ্বারা একের পর এক ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। বাইবেলের জন্য অনেক মানুষকে নির্যাতন ও মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিলো। ধর্ম পুস্তকের জন্য এত মানুষের নির্যাতন ও মৃত্যুবরণের ঘটনা অন্য কোন ধর্ম পুস্তকের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
পৃথিবীতে যাতে এই পবিত্র বাইবেল না থাকে এই জন্য রোমের সম্রাট ডায়োক্লিসিয়ান ঘোষণা দিলেন যে, যার ঘরে এই পবিত্র বাইবেল পাওয়া যাবে তাকে হত্যা করা হবে। তাই যাদের কাছে পবিত্র বাইবেল ছিল তারা নিজ নিজ পবিত্র বাইবেল সম্রাটের কাছে জমা দিয়ে দিল।আর যার কাছে এই পবিত্র বাইবেল আছে এই সংবাদ যে না দেবে তাকে হত্যা করা হবে। এমনি ভাবেই তিনি পবিত্র বাইবেল নিশ্চিহ্ন করতে চাইলেন। তার হাতে যে বাইবেল গুলো এসেছিলো তিনি তার সব পুড়িয়ে দিলেন। এবং মনে করলেন আর পবিত্র বাইবেল নেই।
এর এক শতাব্দী পরে সম্রাট কনস্টাইন যখন প্রভু যীশুকে গ্রহণ করলেন তখন তিনি ঘোষণা দিলেন যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে তাকে একখানা বাইবেল এনে দিতে পারবে তাকে ভালো পুরস্কার দেয়া হবে। ঘটনা এমন ঘটলো যে ৫০ টি পবিত্র বাইবেল এসে গেলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে।
একজন নাস্তিক ভন্টেয়ার দার্শনিক বলেছিলেন যে খ্রীষ্ট ধর্ম শেষ হয়ে যাবে কিন্তু এই আজ তার নিজের বাড়ি যেখানে তিনি থাকতেন সেটি বাইবেল সোসাইটির বিরাট অফিস। সেখান থেকে হাজার হাজার পবিত্র বাইবেল ও লক্ষ লক্ষ পুস্তিকা বের হচ্ছে সেগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে।
তাই একথা স্বীকার করতে হয় যে বাইবেলকে কখনও ধ্বংশ ও বিলুপ্ত করা সম্ভব নয়। যা কিনা প্রমাণিত হয়েছে। ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল হলো অবিনশ্বর। বাইবেলে তাই একথা লেখা আছে:
ঘাস শুকিয়ে যায়, আর ফুলও ঝড়ে যায়, কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে। {১ পিতর ২৪-২৫}
বাইবেল হলো একজন মানুষের চলার পথের প্রদীপের মত। গীতসংহিতা পুস্তকে লেখা আছে:
প্রভু, তোমার বাক্যগুলো প্রদীপের মত আমার পথকে আলোকিত করে। {গীতসংহিতা ১১৯:১০৫}
বাইবেল হল একমাত্র গ্রন্থ যা মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথে আনতে পারে। অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষ যদি বাইবেলে সংস্পর্শে আসে তবে তার জীবন আলোয় আলোকিত হবে। এবং সে জীবনে চলার সঠিক পথ খুঁজে পাবে।

পবিত্র বাইবেল সম্পর্কে অনেক বিখ্যাত মণীষীরা অনেক বিখ্যাত কিছু উক্তি দিয়েছেন-
সাধু সুন্দর সিং বলেছেন, ‌
বাইবেল জগতের জন্য ঈশ্বরের প্রেমপত্র।
বিখ্যাত যোদ্ধা নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেছেন, ‌
বাইবেল কেবল মাত্র একটি বই নয় কিন্তু একটি জীবন্ত সৃষ্টি, যা শক্তি সমৃদ্ধ যে কেই বাঁধা দেবে সে পরাজিত হবে।
এবং বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেছেন, ‌
জাগতিক অন্য যে কোন ইতিহাসের চেয়ে বাইবেল যে অধিকতর বিশ্বাস যোগ্য তার অনেক নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে।
তাই আসুন আমরা প্রতিদিন বাইবেল অধ্যয়ণ করি। সাধু পৌল তাঁর তীমথীয় পুস্তকে মহামূল্যবান একটি কথা বলেছেন:
ছেলেবেলা থেকে তুমি পবিত্র শাস্ত্র থেকে শিক্ষা লাভ করেছ। আর পবিত্র শাস্ত্রই তোমাকে খ্রীষ্ট যীশুর উপর বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পাপ থেকে উদ্ধার পাবার জ্ঞান দিতে পারে। {২তীমথীয় ৩:১৫}
বাইবেলের শেষ পুস্তক প্রকাশিত বাক্যে লেখা আছে:
ঈশ্বরের বাক্য যা এখানে লেখা হয়েছে, যে তা পড়ে সে ধন্য এবং যে তা শোনে ও পালন করে সেও ধন্য, কারন সময় কাছে এসে গেছে। {প্রকাশিত বাক্য ১:৩}
প্রকাশিত বাক্য ১:৩ পদের শেষে বলা হয়েছে সময় কাছে এসে গেছে, অতএব বন্ধুরা বাইবেল পড়ুন, বাইবেল পড়া শুনুন ও বাইবেলের লেখা কথাগুলি পালন করুন, তবেই আপনি অনন্ত জীবন পাবেন।
Read More

Wednesday, February 11, 2015

পবিত্র বাইবেল সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য
http://daily-bible-bd.blogspot.com/
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ হল বাইবেল। বাইবেল শব্দটি গ্রীক βιβλία শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ ‌‍একটি পুস্তক। বাইবেল লেখা হয়েছিল ১৫০০ বছরের বেশী সময় ধরে এবং এর লেখক ছিল ৪০ জন। বাইবেল লেখার কাজ পরিচালনা করেছিলেন পবিত্র আত্মা। বাইবেল ৩ টি ভাষায় লেখা হয়েছে, হিব্রু, অরামিক ও গ্রীক। পুরাতন নিয়মের অধিকাংশ পুস্তক হিব্রু ভাষায় লেখা তবে ইষ্রা ও দানিয়েল পুস্তকের কিছু অংশ অরামিক ভাষায় লেখা হয়েছিল। নতুন নিয়মের সব পুস্তকই গ্রীক ভাষায় লেখা। বাইবেলের দুটি অংশ রয়েছে, পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম।
বাইবেল হলো ৬৬ টি পুস্তকের একটি সংকলন। বাইবেলের পুরাতন নিয়মের অধ্যায় সংখ্যা হল ৩৯ টি এবং নতুন নিয়মের অধ্যায় সংখ্যা হল ২৭ টি। বাইবেলের সবচেয়ে বড় পুস্তক হল গীতসংহিতা। বাইবেলের সবচেয়ে ছোট পুস্তক হল ৩ যোহন। পুরাতন নিয়মের সবচেয়ে বড় পুস্তক হলো গীতসংহিতা এবং সবচেয়ে ছোট পুস্তক হলো ওবদিয়। নতুন নিয়মের সবচেয়ে বড় পুস্তক হলো লূক এবং সবচেয়ে ছোট পুস্তক হল ৩ যোহন। বাইবেলের সবচেয়ে বড় অধ্যায় হলো গীতসংহিতা ১১৯ অধ্যায়। বাইবেলের সবচেয়ে ছোট অধ্যায় হলো গীতসংহিতা ১১৭ অধ্যায়।
বাইবেলের সর্বমোট অধ্যায় হলো ১১৮৯ এবং সর্বমোট পদ হল ৩১১৭৩। বাইবেলে যেমন ৬৬ টি পুস্তক রয়েছে তেমনি ইশাইয়া পুস্তকের রয়েছে ৬৬ টি অধ্যায়। বাইবেলে যীশু নামটি ৯৭৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে। রোমের সম্রাট ডায়োক্লিসিয়ান পবিত্র বাইবেল পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন। রোমের সম্রাট কনস্টাইন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের পর তাঁর জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি বাইবেল চেয়েছিলেন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার কাছে ৫০ টি বাইবেল এসেছিল। পৃথিবীতে সর্বমোট ২০৯৮ টি ভাষায় পবিত্র বাইবেল রয়েছে। ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম ইংরেজী বাইবেল অনুবাদ করেন ইংল্যান্ডের জন ওয়াইক্লিফ। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুদ্রিত বাইবেল হলো গুটেনবার্গ বাইবেল। বাংলা বাইবেল সর্বপ্রথম অনুবাদ করেন উইলিয়াম কেরী। বাংলা নতুন নিয়ম সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৮০১ সালে। পূর্ণাঙ্গ বাংলা বাইবেল সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৮০৯ সালে।
Read More