Tuesday, July 16, 2013

Genesis 5

অধ্যায়          ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮ ৩৮ ৪০ ৪১ ৪২ ৪৩ ৪৪ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪৯ ৫০


আদিপুস্তক ৫
এই বই হল আদম পরিবারের বিষয নিয়ে। ঈশ্বর নিজের ছাঁচে মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন।
ঈশ্বর মানুষকে পুরুষ ও স্ত্রীরূপে সৃষ্টি করেছিলেন। এবং সেই সৃষ্টির দিনে ঈশ্বর আশীর্বাদ করে তাদের নাম দিলেন আদম।
আদমের যখন ১৩০ বছর বয়স তখন তার আর একটি পুত্র হল। পুত্রটিকে দেখতে হুবহু আদমের মতো। আদম তার নাম রাখলেন শেথ।
শেথের জন্মের পর ৮০০ বছর আদম বেঁচ্ছেিলেন। এই সময়ের মধ্যে আদমের আরও পুত্রকন্যা হল।
সুতরাং আদম মোট ৯৩০ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হল।
শেথের যখন ১০৫ বছর বয়স তখন তাঁর একটি পুত্র হয়। তার নাম রাখা হয় ইনোশ।
ইনোশের জন্মের পরে শেথ ৮০৭ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে শেথের আরও পুত্রকন্যা হয়।
সুতরাং শেথ বেঁচ্ছেিলেন মোট ৯১২ বছর। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
ইনোশের যখন ৯০ বছর বয়স তখন তাঁর কৈনন নামে একটি পুত্র হয়।
১০ কৈননের জন্মের পর ইনোশ ৮১৫ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর আরও পুত্রকন্যা হয়।
১১ সুতরাং ইনোশ মোট ৯০৫ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
১২ কৈননের ৭০ বছর বয়সে তাঁর মহললেল নামে একটি পুত্র হয়।
১৩ মহললেলের জন্মের পর কৈনন ৮৪০ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে কৈননের আরও পুত্রকন্যা হয়।
১৪ সুতরাং কৈনন মোট ৯১০ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
১৫ মহললেলের যখন ৬৫ বছর তখন তাঁর য়েরদ নামে একটি পুত্র হয়।
১৬ য়েরদের জন্মের পর মহললেল ৮৩০ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর আরও পুত্রকন্যা হয়।
১৭ সুতরাং মহললেল মোট ৮৯৫ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
১৮ য়েরদের যখন ১৬২ বছর বয়স তখন তাঁর হনোক নামে একটি পুত্র হয়।
১৯ হনোকের জন্মের পর য়েরদ ৮০০ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর আরও পুত্রকন্যা হয়.
২০ সুতরাং য়েরদ মোট ৯৬২ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
২১ হনোকের যখন ৬৫ বছর বয়স তখন মথূশেলহ নামে তাঁর একটি পুত্র হয়।
২২ মথূশেলহর জন্মের পর হনোক আরও ৩০০ বছর ঈশ্বরের সঙ্গে পদচারণা করেন। ইতিমধ্যে তাঁর আরও পুত্রকন্যা হয়।
২৩ সুতরাং হনোক মোট ৩৬৫ বছর বেঁচ্ছেিলেন।
২৪ একদিন হনোক ঈশ্বরের সঙ্গে পদচারণা করতে করতে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। ঈশ্বর তাঁকে নিয়ে নিলেন।
২৫ মথূশেলহর যখন ১৮৭ বছর বয়স তখন তাঁর লেমক নামে একটি পুত্র হয়।
২৬ লেমকের জন্মের পর মথূশেলহ ৭৮২ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর আরও পুত্রকন্যা হয়।
২৭ সুতরাং মথূশেলহ মোট ৯৬৯ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
২৮ লেমকের যখন ১৮২ বছর বয়স তখন তাঁর একটি পুত্র হল।
২৯ লেমক পুত্রের নাম রাখলেন নোহ। তিনি বললেন, ঈশ্বর ভূমিকে অভিশাপ দিয়েছেন বলে কৃষকরূপে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু নোহ আমাদের বিশ্রাম দেবে।
৩০ নোহের জন্মের পর লেমক ৫৯৫ বছর বেঁচ্ছেিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর আরও পুত্রকন্যা হয়।
৩১ সুতরাং লেমক মোট ৭৭৭ বছর বেঁচ্ছেিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
৩২ নোহর ৫০০ বছর বয়সে শেম, হাম এবং য়েফত্‌ নামে তিনটি পুত্র হয়।


Read More

Thursday, June 20, 2013

Genesis 4

অধ্যায়          ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮ ৩৮ ৪০ ৪১ ৪২ ৪৩ ৪৪ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪৯ ৫০


আদিপুস্তক ৪
আদম ও তার স্ত্রী হবার মধ্যে য়ৌন সম্পর্ক হল। হবা একটি শিশুর জন্ম দিল। শিশুটির নাম রাখা হল কয়িন। হবা বলল, প্রভুর সহায়তায আমি একটি মানুষের রূপ দিয়েছি।
পরে সে আর একটি শিশু প্রসব করল। এই শিশুটি হল কয়িনের ভাই হেবল। হেবল হল মেষপালক আর কয়িন হল কৃষক।
ফসল কাটার সময় প্রভুর জন্যে কয়িন কিছু উপহার নিয়ে এল। কয়িন ক্ষেতে যা ফলিযেছিল তার থেকে কিছু ফসল নিয়ে এল। আর হেবল প্রভুর জন্য তার মেষপাল থেকে বাছাই করা সেরা মেষগুলোর সেরা অংশ নিয়ে এল।প্রভু হেবল ও তার উপহার গ্রহণ করলেন,
৪-৫ কিন্তু প্রভু কয়িন ও তার উপহার প্রত্যাখ্যান করলেন। এতে কয়িনের ভীষণ দুঃখ আর রাগ হল।
প্রভু কয়িনকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি রাগ করছ কেন? তোমার মুখ বিষন্ন কেন?
তুমি যদি ভাল কাজ কর, তখন আমি তোমায় গ্রহণ করব। কিন্তু যদি অন্যায় কাজ করো সে পাপ থাকবে তোমার জীবনে। তোমার পাপ তোমাকে আযত্তে রাখতে চায়, কিন্তু তোমাকেই সেই পাপকে আযত্তে রাখতে হবে।
কয়িন তার ভাই হেবলকে বলল, চলো, মাঠে যাওয়া যাক। তখন কয়িন আর হেবল বাইরে মাঠে গেল। তখন কয়িন তার ভাই হেবলের উপর ঝাঁপিযে পড়ে তাকে হত্যা করল।
পরে প্রভু কয়িনকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ভাই হেবল কোথায়?কয়িন বলল, আমি জানি না। ভাইয়ের উপর নজরদারি করা কি আমার কাজ?
১০ তখন প্রভু বললেন, তুমি কি করেছ? তোমার ভাইকে তুমি হত্যা করেছ? তার রক্ত মাটির নীচে থেকে আমার উদ্দেশ্যে চিত্কার করছে।
১১ তুমি তোমার ভাইকে হত্যা করেছ এবং তোমার হাত থেকে তার রক্ত নেওয়ার জন্যে পৃথিবী বিদীর্ণ হয়েছে। তাই এখন, আমি এই ভূমিকে অভিশাপ দেব।
১২ অতীতে, তুমি গাছপালা লাগিয়েছ এবং তোমার গাছপালার ভালই বাড়বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু এখন তুমি গাছপালা লাগাবে এবং মাটি তোমার গাছপালা বাড়তে আর সাহায্য করবে না। এই পৃথিবীতে তোমার কোনও বাড়ী থাকবে না, তুমি এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াবে।
১৩ তখন কয়িন বলল, এই শাস্তি আমার পক্ষে খুব বেশী!
১৪ দেখ, তুমি আমায় নির্বাসনে য়েতে বাধ্য করছ। আমি তোমার কাছেও আসতে পারব না, তোমার সঙ্গে আর আমার দেখাও হবে না। আমার কোনও ঘরবাড়ী থাকবে না। আমি পৃথিবী জুড়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হব এবং আমায় য়ে দেখবে সেই হত্যা করবে।
১৫ তখন প্রভু কয়িনকে বললেন, না, আমি তা ঘটতে দেব না। তোমায় যদি কেউ হত্যা করে তাহলে তাকে আরও বেশী শাস্তি দেব। তখন প্রভু কয়িনের গায়ে একটা চিহ্ন দিলেন যাতে কেউ তাকে হত্যা না করে।
১৬ কয়িন প্রভুর কাছ থেকে চলে এল এবং এদনের পূর্বদিকে নোদ নামক এক দেশে বাস করতে লাগল।
১৭ কয়িনের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্কের ফলে তার স্ত্রী একটি পুত্রের জন্ম দিল। তার নাম রাখা হল হনোক। কয়িন একটি নগর পত্তন করে তার নামও পুত্রের নামে রাখল হনোক।
১৮ হনোকের ইরদ নামে একটি পুত্র হল। ইরদের পুত্রের নাম মহূয়ায়েল। আর তার পুত্রের নাম মথুশায়েল। আর তার পুত্রের নাম লেমক।
১৯ লেমকের দুজন স্ত্রী ছিল। একজনের নাম আদা, আর একজনের নাম সিল্লা।
২০ আদার গর্ভে জন্ম হল যাবলের। যারা তাঁবুতে বাস করে এবং পশুপালন করে সেই জাতির জনক হল যুবল।
২১ আদার অন্য পুত্রের নাম য়ুবল। তার সন্তানসন্ততি থেকে য়ে জাতির সৃষ্টি হল তারা বীণা ও বাঁশি বাজায।
২২ লেমকের অন্য স্ত্রী সিল্লা এক পুত্রের ও এক কন্যার জন্ম দিল। পুত্রের নাম তুবল কয়িন আর কন্যার নাম নয়মা। তুবল কয়িনের সন্তানসন্ততি পিতল ও লোহার কাজে দক্ষ।
২৩ লেমক তার দুই স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলল,আদা আর সিল্লা, এদিকে কান দাও। লেমকের স্ত্রীরা, আমার কথা শোনো! একটা লোক আমায় মেরেছিল, তাই তাকে আমি হত্যা করেছি। একজন তরুণ আমায় আঘাত করেছিল, তার বদলে আমি তাকে হত্যা করেছি।
২৪ কয়িনকে হত্যার শাস্তি ছিল সাত গুণ, লেমককে হত্যার শাস্তি সাতাত্তর গুণ বেশী!
২৫ আদমের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্কের ফলে হবা আর একটি পুত্রের জন্ম দিল। তারা তার নাম রাখল শেথ। হবা বলল, ঈশ্বর আমায় আর একটি পুত্র দিয়েছেন। কয়িন হেবলকে মেরে ফেলল, কিন্তু আমার এখন শেথ আছে।

২৬ শেথেরও একটি পুত্র হল। সে তার নাম রাখল ইনোশ। সেই সময় লোকেরা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করল।
Read More

Tuesday, April 9, 2013

Genesis 7

অধ্যায়          ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮ ৩৮ ৪০ ৪১ ৪২ ৪৩ ৪৪ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪৯ ৫০



আদিপুস্তক ৭
তখন প্রভু নোহকে বললেন, তুমি য়ে একজন সত্‌ মানুষ তা আমি লক্ষ্য করেছি। এমনকি এই য়ুগের দুষ্ট লোকদের মধ্যেও তুমি নিজেকে সত্‌ রেখেছ। সুতরাং তোমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে তুমি গিয়ে নৌকোতে ওঠো।
পৃথিবীর সমস্ত শুচি পশুপাখীরসাত সাত জোড়া এবং অন্যান্য প্রত্যেক পশুর এক এক জোড়া নাও। এই সমস্ত পশুপাখীদের তুমি ঐ নৌকোতে তোমার সঙ্গে নেবে।
৩ সমস্ত রকম পাখীর সাতটি করে জোড়া নেবে। এর ফলে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত পশুপাখী আমি ধ্বংস করে ফেলার পরেও এইসব পশুপাখী সম্পূর্ণভাবে বংশলোপের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এখন থেকে ঠিক সাতদিন পরে আমি পৃথিবীতে প্রবল বর্ষণ ঘটাবো। ৪০ দিন ৪০ রাত ধরে বৃষ্টি হবে। আমি পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত প্রাণী ধ্বংস করে দেব। যা কিছু আমি সৃষ্টি করেছি, সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
প্রভু যা যা করতে বললেন, নোহ সে সমস্তই করলেন।
যখন সেই বর্ষন শুরু হল তখন নোহের বয়স ৬০০ বছর।
নোহ এবং তাঁর পরিবার মহাপ্লাবন থেকে পরিত্রাণের জন্যে নৌকোতে প্রবেশ করলেন। নোহের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, তাঁর পুত্রেরা ও পুত্রবধূরা সবাই নৌকোতে ছিলেন।
সমস্ত শুচি ও অশুচি পশুপাখী এবং মাটিতে যারা বুকে হেঁটে চলে সেইসব প্রাণী
নোহের সঙ্গে নৌকোতে গিয়ে উঠল। ঈশ্বর য়েমনটি আদেশ করেছিলেন ঠিক তেমনভাবে স্ত্রী ও পুরুষে জুটি বেঁধে সমস্ত পশুপাখী নৌকোতে চড়লে,
১০ সাত দিন পরে শুরু হল প্লাবন। পৃথিবীতে শুরু হলো বর্ষা।
১১ নোহর ৬০০তম বছরের দ্বিতীয় মাসের ১৭তম দিনে সমস্ত ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণ ফেটে বেরিয়ে এল, মাটি থেকে জল বইতে শুরু করল। ঐদিন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল, বাঁধ ভেঙে গেল এবং সমস্ত পৃথিবী জলপ্লাবিত হলো। সেই একই দিনে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হল য়েন আকাশের সমস্ত জানালা খুলে গেল। ৪০ দিন ৪০ রাত ধরে সমানে বৃষ্টি হলো। সেই দিনটিতেই নোহ ও তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের তিন পুত্র শেম, হাম, য়েফত্‌ আর তাদের তিন স্ত্রী সকলেই নৌকোয প্রবেশ করল।
১২ ১৩ ১৪ ঐ সব মানুষ আর পৃথিবীর যাবতীয় পশুপাখী নৌকোর মধ্যে আশ্রয় নিলো। সব রকমের গৃহপালিত জন্তু এবং পৃথিবীতে যতরকমের পশুপাখী চলে ফিরে আর উড়ে বেড়ায সবাই নৌকোর ভেতরে নিরাপদে থাকলো।
১৫ সমস্ত জন্তু জানোয়ার, পাখী ইত্যাদি নোহর সঙ্গে নৌকোতে জোড়ায় জোড়ায় থাকল।
১৬ ঈশ্বর য়েমন আদেশ দিয়েছিলেন, নোহ সেই অনুসারে পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণীর এক এক জোড়া নৌকোতে তুললে, প্রভু বাইরে থেকে নৌকোর দরজা বন্ধ করে দিলেন।
১৭ পৃথিবীতে ৪০ দিন ধরে বন্যা চলল। জলের মাত্রা ক্রমশঃ উঁচু হতে লাগল আর সেই নৌকো মাটি ছেড়ে জলের উপরে ভাসতে থাকলো।
১৮ জল বাড়তেই থাকল আর নৌকো মাটি ছেড়ে অনেক উঁচুতে ভাসতে লাগল।
১৯ জল এত বাড়লো য়ে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলো পর্য্ন্ত ডুবে গেল।
২০ পর্বতগুলোর মাথা ছাপিযে জল বাড়তে লাগল। সবচেয়ে উঁচু পর্বতের উপরেও ২০ ফুটের বেশী জল দাঁড়াল।
২১ পৃথিবীর সমস্ত জীব মারা গেল। প্রতিটি পুরুষ ও স্ত্রী এবং পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার মারা পড়ল। সমস্ত বন্য প্রাণী, সরীসৃপ ধ্বংস হয়ে গেল। স্থলচর যত প্রাণী শ্বাস প্রশ্বাস নেয় তারাও মারা গেল।
২২ ২৩ এইভাবে ঈশ্বর পৃথিবীকে একেবারে পরিষ্কার করে ফেললেন। পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত অস্তিত্ব ধ্বংস করে ফেললেন। সমস্ত মানুষ, সমস্ত জন্তু জানোয়ার, বুকে হাঁটা সমস্ত প্রাণী এবং সমস্ত পাখী এই সব কিছুই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। নোহ আর নোহের পরিবার পরিজন এবং নৌকোতে আশ্রয় পাওয়া পশুপাখী - কেবলমাত্র এইসব প্রাণের অবশেষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকলো। ২৪ একটানা ১৫০ দিন পৃথিবী বিপুল জলরাশিতে ডুবে থাকলো।


Read More

Wednesday, March 13, 2013

Genesis 6

অধ্যায়          ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮ ৩৮ ৪০ ৪১ ৪২ ৪৩ ৪৪ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪৯ ৫০

আদিপুস্তক ৬
পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়ে চলল। অনেকের অনেক কন্যা হল।
ঈশ্বরের পুত্রেরা দেখল য়ে তারা সুন্দরী। সুতরাং ঈশ্বরের পুত্রেরা যার যাকে পছন্দ সে তাকে বিয়ে করল।এই নারীরা সন্তানের জন্ম দিল। সেই সময় এবং পরবর্তীকালে পৃথিবীতে নেফিলিম জাতীয মানুষরা বাস করত। প্রাচীনকাল থেকেই নেফিলিমরা মহাবীররূপে বিখ্যাত ছিল।তখন প্রভু বললেন, মানুষ নেহাতই রক্তমাংসের জীব মাত্র। ওদের দ্বারা আমি আমার আত্মাকে চিরকাল পীড়িত হতে দেব না। আমি ওদের ১২০ বছর করে আযু দেব।
৩ ৪ ৫ প্রভু দেখলেন য়ে পৃথিবীতে লোকে শুধু মন্দ কাজই করছে। তিনি দেখলেন য়ে লোক সারাক্ষণ মন্দ জিনিসের কথাই চিন্তা করছে।
পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করার জন্যে প্রভুর অনুশোচনা হল এবং তাঁর হৃদয় বেদনায় পূর্ণ হল।
তাই তিনি বললেন, পৃথিবীতে যত মানুষ সৃষ্টি করেছি সবাইকে আমি ধ্বংস করব। প্রত্যেক মানুষ, প্রত্যেক জানোয়ার এবং পৃথিবীর উপরে যা কিছু চলে ফিরে বেড়ায সব কিছুকে আমি ধ্বংস করব। বাতাসে যত পাখী ওড়ে সেগুলোকেও আমি ধ্বংস করব। কেন? কারণ এই সবকিছু সৃষ্টি করেছি বলে আমি দুঃখিত।
পৃথিবীতে শুধু একজন মানুষের প্রতি প্রভু সন্তুষ্ট ছিলেন - সে হল নোহ।
এই হল নোহের পরিবারের বৃতান্ত। নোহ তাঁর প্রজন্মের একজন ভাল ও সত্‌ মানুষ ছিলেন এবং তিনি সর্বদা ঈশ্বরকে অনুসরণ করতেন।
১০ নোহের তিন পুত্র ছিল: শেম, হাম আর য়েফত্‌।
১১ ঈশ্বর নীচে পৃথিবীর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং দেখলেন য়ে মানুষ তা ধ্বংস করেছে। সর্বত্র হিংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ। মানুষ দুষ্ট এবং নিষ্ঠুর হয়ে গেছে এবং নিজেদের জীবন নষ্ট করেছে।
১২ ১৩ তাই ঈশ্বর নোহকে বললেন, সমস্ত লোক ক্রোধ আর হিংসা দিয়ে পৃথিবী পরিপূর্ণ করেছে। তাই আমি সমস্ত জীবন্ত প্রাণীদের ধ্বংস করব। পৃথিবী থেকে সব কিছু মুছে ফেলব।
১৪ গোফর কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানাও। নৌকোর ভেতরে অনেকগুলি কক্ষ তৈরী করবে এবং কাঠ সংরক্ষণের জন্য বাইরে আলকাতরা লাগাবে।
১৫ নৌকোটা ৩০০ হাত লম্বা, ৫০ হাত চওড়া আর ৩০ হাত উঁচু করে তৈরী করবে।
১৬ ছাদের থেকে প্রায় ১৮ ইঞ্চি নীচে একটা জানালা তৈরী করবে। নৌকোর পাশের দিকে একটা দরজা তৈরী করবে। উপরের তলা, মাঝের তলা আর নীচের তলা - এইভাবে নৌকোর তিনটে তলা থাকবে।
১৭ এবার যা বলছি, মন দিয়ে শোন। পৃথিবীতে আমি এক মহাপ্লাবন ঘটাবো। আকাশের নীচের যত জীবন্ত প্রাণী আছে, সব ধ্বংস করবো। পৃথিবীর সমস্ত কিছুর মৃত্যু হবে।
১৮ কিন্তু তোমার সঙ্গে আমার একটা বিশেষ চুক্তি হবে। তুমি, তোমার স্ত্রী, তোমার পুত্রেরা, তোমার পুত্রবধূরা - তোমরা সবাই ঐ নৌকোতে উঠবে।
১৯ আর পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর থেকে তুমি একটি করে পুরুষ আর একটি করে স্ত্রী বেছে নেবে। তুমি অবশ্যই তাদের নৌকোতে তুলে নেবে এবং তোমাদের সঙ্গে তাদেরও বাঁচিয়ে রাখবে।
২০ সমস্ত রকম পাখীর এক জোড়া, সমস্ত রকম পশুর এক জোড়া এবং মাটিতে বুকে হেঁটে চলে সেরকম সব প্রাণীর এক-এক জোড়া খুঁজে বের করো। পৃথিবীতে যত রকম জীবজন্তু আছে সে সব গুলোর এক জোড়া স্ত্রী পুরুষ জোগাড় করে তোমার নৌকোতে তাদের বাঁচিয়ে রাখবে।
২১ তোমাদের জন্য আর অন্যান্য পশুপাখীর জন্য সমস্ত রকম খাবারও অবশ্যই জোগাড় করে রাখবে।
২২ এই সমস্ত কিছুই নোহ করলেন। ঈশ্বর য়েমন আজ্ঞা দিয়েছিলেন, নোহ সবকিছু ঠিক সেইভাবেই পালন করলেন।

Read More

Tuesday, January 15, 2013

Genesis 9

অধ্যায়          ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮ ৩৮ ৪০ ৪১ ৪২ ৪৩ ৪৪ ৪৫ ৪৬ ৪৭ ৪৮ ৪৯ ৫০

আদিপুস্তক ৯
ঈশ্বর নোহ আর তাঁর পুত্রদের আশীর্বাদ করলেন। ঈশ্বর তাদের বললেন, তোমাদের বহু সন্তান হোক। তোমাদের উত্তরপুরুষরা পৃথিবী পরিপূর্ণ করুক।
পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার, আকাশের সমস্ত পাখী, যতরকমের সরীসৃপ জাতীয জীব যারা মাটির উপরে বুকে হেঁটে চলে এবং জলের সমস্ত মাছ প্রত্যেকে তোমাদের ভয় করবে। সমস্ত প্রাণীগণই তোমাদের শাসনে থাকবে।
অতীতে তোমাদের খাদ্য হিসেবে আমি শুধু সবুজ উদ্ভিদ তোমাদের দিয়েছিলাম। এখন থেকে সমস্ত জানোয়ারই তোমাদের খাদ্য হবে। পৃথিবীর সমস্ত কিছুই আমি তোমাদের দিচ্ছি। সব কিছুই তোমাদের।
য়ে মাংসের মধ্যে সেই প্রাণীর প্রাণ (রক্ত) আছে সেই মাংস কখনও খাবে না।
আমি তোমাদের জীবনের জন্য তোমাদের রক্ত দাবি করব। অর্থাত্‌ যদি কোনও জানোয়ার কোনও মানুষকে হত্যা করে তাহলে আমি তার প্রাণ দাবী করব এবং যদি কোন মানুষ অন্য কোনও মানুষের প্রাণ নেয় আমি তারও প্রাণ দাবী করব।
ঈশ্বর মানুষকে আপন ছাঁচে তৈরী করেছেন। তাই য়ে মানুষ অপর মানুষকে হত্যা করে তার অবশ্যই মানুষের হাতে মৃত্যু হবে।
নোহ, তুমি ও তোমার পুত্রদের অনেক সন্তানসন্ততি হোক। আপন পরিজনদের দিয়ে পৃথিবী পরিপূর্ণ করো।
তারপর ঈশ্বর নোহ ও তাঁর পুত্রদের বললেন,
আমি এখন তোমাকে এবং তোমার লোকদের, যারা তোমার পরে বর্ত্তমান থাকবে তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
১০ নৌকোর মধ্যে থেকে তোমার সঙ্গে য়েসব পাখী, য়েসব গৃহপালিত জন্তু এবং অন্যান্য য়েসব জানোয়ার নেমেছে তাদের সবাইকে আমার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর কাছে আমার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
১১ তোমাদের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি হল এই: পৃথিবীর সমস্ত প্রাণ বন্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু এমন ঘটনা আর কখনও হবে না। কোনও বন্যা আর কখনও পৃথিবী থেকে সমস্ত প্রাণ নিশ্চিহ্ন করবে না।
১২ ঈশ্বর আরও বললেন, আর আমি য়ে এই প্রতিশ্রুতি দিলাম এর প্রমাণস্বরূপ আমি তোমাদের একটা জিনিস দেব। এই প্রমাণ থেকে সকলে জানবে য়ে আমি তোমার সঙ্গে এবং পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত জিনিসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এই চুক্তি চিরকালীন।
১৩ প্রমাণটা এই য়ে, আকাশে আমি মেঘে মেঘে সাতরঙের এক রঙধনু বানিয়েছি। ঐ রঙধনুই হল আমার আর পৃথিবীর মধ্যে চুক্তির চিহ্ন।
১৪ আমি যখন পৃথিবীর উপরে মেঘমালা ছড়িয়ে দেব, তখন তোমরা মেঘে ঐ রঙধনু দেখতে পাবে।
১৫ আর আমি যখন ঐ রঙধনু দেখতে পাবো, আমার তখন তোমার ও পৃথিবীর যাবতীয় জীবন্ত জিনিসের সঙ্গে চুক্তির কথা মনে পড়বে। এই চুক্তির মর্ম হল য়ে পৃথিবীতে আর কখনও সর্ব বিধ্বংসী এমন বন্যা হবে না।
১৬ আমি যখন মেঘের মধ্যে ঐ রঙধনু দেখবো তখন চিরকালের জন্য সম্পন্ন ঐ চুক্তির কথা আমার মনে পড়ে যাবে। আমার আর পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যে ঐ চুক্তির কথা আমি মনে রাখব।
১৭ তারপর প্রভু নোহকে বললেন, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমি য়ে একটা চুক্তি করেছি ঐ রঙধনুই তার প্রমাণ।
১৮ নোহর সঙ্গে তাঁর পুত্রেরাও নৌকো থেকে বেরিয়ে এলো। তাদের নাম শেম, হাম আর য়েফত্‌। (হামই কনানের পিতা।)
১৯ ঐ তিনজন হল নোহর পুত্র। ঐ তিন পুত্র হতেই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ এসেছে।
২০ মাটিতে নেমে নোহ কৃষিকাজ শুরু করলেন। একটা জমিতে তিনি দ্রাক্ষা চাষ করলেন।
২১ সেই দ্রাক্ষা থেকে নোহ দ্রাক্ষারস বানালেন, তারপর সেই দ্রাক্ষারস পান করে নেশায চুর হয়ে তাঁবুর ভিতরে শুয়ে পড়লেন। নোহর গায়ে আবরণ থাকল না।
২২ কনানের পিতা হাম সেই উলঙ্গ অবস্থায় নিজের পিতাকে দেখে ফেললো। তাঁবুর বাইরে গিয়ে সে কথা ভাইদের বলল।
২৩ তখন শেম আর য়েফত্‌ এক খণ্ড বস্ত্র নিয়ে নিজেদের পিঠের উপর ছড়িয়ে নিলো। তারপর পিছন দিকে হেঁটে হেঁটে তাঁবুর ভিতরে ঢুকে ঐ বস্ত্রখণ্ড দিয়ে পিতাকে ঢেকে দিল। এইভাবে, তাদের মুখ বিপরীত দিকে ছিল বলে তাদের পিতার নগ্নতা তারা দেখেনি।
২৪ দ্রাক্ষারসের প্রভাবে নোহ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তিনি যখন ঘুম থেকে উঠলেন তখন জানতে পারলেন তাঁর তরুণ পুত্র হাম তাঁর প্রতি কি করেছে।
২৫ তখন নোহ বললেন,অভিশাপ কনানের উপরে পড়ুক। তাকে চিরকাল তার ভাইদের দাস হয়ে থাকতে হবে।
২৬ নোহ আরও বললেন,শেমের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর! কনান য়েন শেমের দাস হয়।
২৭ ঈশ্বর য়েফত্‌কে আরও জমি দিন, ঈশ্বর শেমের তাঁবুতে অবস্থান করুন এবং কনান তাদের দাস হউক।
২৮ বন্যার পরে নোহ ৩৫০ বছর বেঁচ্ছেিলেন।
২৯ নোহ বেঁচ্ছেিলেন মোট ৯৫০ বছর; তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।

Read More