Friday, February 13, 2015

God's Word, the Holy Bible.

ঈশ্বরের বাক্য পবিত্র বাইবেল

http://daily-bible-bd.blogspot.com/
বাইবেল হল খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেল শব্দটি এসেছে গ্রীক βιβλία শব্দ থেকে যার অর্থ ‍একটি পুস্তক
বাইবেল হলো ঈশ্বরের বাক্য:
পবিত্র শাস্ত্রের প্রত্যেকটি কথা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে এবং তা শিক্ষা, চেতনা দান, সংশোধন এবং সৎ জীবনে গড়ে উঠবার জন্য দরকারী। {২ তীমথিয় ৩:১৬}
১৫০০ বছরের ও বেশী সময় ধরে ৪০ জন লেখক এই বাইবেল লিখেছিলেন। এবং এই বাইবেল লেখার কাজ পরিচালনা করেছিলেন পবিত্র আত্মা:
নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেন নি; পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলেছিলেন। {২ পিতর ১:২১}
পবিত্র বাইবেলের প্রধান দুটি অংশ পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম। পুরাতন নিয়মের অধিকাংশ পুস্তক হিব্রু ভাষায় লেখা হয়েছে। দানিয়েল ও ইষ্রার কিছু অংশ অরামীয় ভাষায় লেখা হয়েছে। নতুন নিয়মের সব পুস্তকই গ্রীক ভাষায় লেখা হয়েছে। বাইবেল হল ৬৬ টি পুস্তকের একটি সংকলন।
*পুরাতন নিয়ম: পুরাতন নিয়মের পুস্তক সংখ্যা হল ৩৯ টি। এই পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলোকে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়।
১। ব্যবস্থা পুস্তক
২। ঐতিহাসিক পুস্তক
৩। কাব্যিক পুস্তক
৪।নবীদের পুস্তক
পুরাতন নিয়মের পুস্তকের শ্রেণীবিভাগ:
১। ব্যবস্থা পুস্তক (৫ টি)
 আদিপুস্তক
 যাত্রাপুস্তক
 লেবীয় পুস্তক
 গণনা পুস্তক
 দ্বিতীয় বিবরণ
২। ঐতিহাসিক পুস্তক (১২টি)
 যিহোশূয়
 বিচারকর্তৃগণের বিবরণ
 রুতের বিবরণ
 ১ শমূয়েল
 ২ শমূয়েল
 ১ রাজাবলি
 ২ রাজাবলি
 ১ বংশাবলি
 ২ বংশাবলি
 ইষ্রা
 নহিমিয়
 ইষ্টের
৩। কাব্যিক পুস্তক (৫টি)
 ইয়োব
 গীতসংহিতা
 হিতোপদেশ
 উপদেশক
 পরমগীত
৪। নবীদের পুস্তক (১৭ টি)
 যিশাইয়
 যিরমিয়
 বিলাপ
 যিহিস্কেল
 দানিয়েল
 হোশেয়
 যোয়েল
 আমোষ
 ওবেদিয়
 যোনা
 মীখা
 নহুম
 হবক্কূক
 সফনিয়
 হগয়
 সখরিয়
 মালাখী
*নতুন নিয়মের পুস্তক সংখ্যা হলো ২৭ টি। নতুন নিয়মের পুস্তকগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১। সুসমাচার।
২। প্রেরিত গণের কার্যাবলী
৩। পৌলের চিঠি
৪। অন্যান্য শিষ্যদের চিঠি
৫। ভাববাণী পুস্তক
১। সুমমাচার (৪টি)
 মথি
 মার্ক
 লূক
 যোহন
২। প্রেরিতদের কার্যাবলী (১টি)
 প্রেরিত্
৩। পৌলের চিঠি (১৩টি)
 রোমীয়
 ১ করিন্থীয়
 ২ করিন্থীয়
 গালাতীয়
 ইফিষীয়
 ফিলীপীয়
 কলসীয়
 ১ থিষলনীকীয়
 ২ থিষলনীকীয়
 ১ তীমথিয়
 ২ তীমথিয়
 তীত
 ফিলীমন
৪। অন্যান্য শিষ্যদের চিঠি (১টি)
 ইব্রীয়
 যাকোব
 ১ পিতর
 ২ পিতর
 ১ যোহন
 ২ যোহন
 ৩ যোহন
 যিহুদা
৫। ভাববানী পুস্তক (১টি)
 প্রকাশিত বাক্য
পবিত্র বাইবেলের সর্বমোট অধ্যায় হলো ১১৮৯ ও সর্বমোট পদ হলো ৩১,১০৩। এর মধ্যে পুরাতন নিয়মের অধ্যায় ৯২৯ ও পদ ২৩১৪৫ এবং নতুন নিয়মের অধ্যায় ২৬০ ও পদ ৭৯৫৮।পৃথিবীর মোট ২৭৯৮ টি ভাষায় পবিত্র বাইবেল রয়েছে।
১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে ইংল্যান্ডের জন ওয়াইক্লিফ সর্বপ্রথম ইংরেজীতে পবিত্র বাইবেল অনুবাদ করেন। তিনি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন বলে ধর্মীয় নেতারা তাকে নির্যাতন করেছিলেন।
পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুদ্রিত বাইবেল হল গুটেনবার্গ বাইবেল।
পবিত্র বাইবেল হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বই। সাধারণত কোন বইয়ের প্রাচীন হওয়ার সুযোগ থাকে না। উহারা অনেক ভঙ্গুর। আগুন তাদের পুড়িয়ে ফেলে, পানি তাদের বিলুপ্ত করে দেয়, পোকা-মাকড় তাদের খেয়ে ফেলে এবং অসতর্ক আঙ্গুল তাদের ছিঁড়ে ফেলে। বাইবেল সম্পূর্ণভাবে প্রায় দুই হাজার বছরের পুরাতন। এর কিছু অংশ দুগুন বেশী সময়ের। পৃথিবী অন্যকোন পুস্তকের সাথে এবর তুলনা করা যাবে না। বাইবেলের এই বয়সই এর স্থায়িত্বকাল এবং অবিনশ্বতার প্রকাশ করে। বাইবেল হলা একটি মহাগ্রন্থ।
বাইবেলকে মানুষের দ্বারা একের পর এক ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। বাইবেলের জন্য অনেক মানুষকে নির্যাতন ও মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিলো। ধর্ম পুস্তকের জন্য এত মানুষের নির্যাতন ও মৃত্যুবরণের ঘটনা অন্য কোন ধর্ম পুস্তকের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
পৃথিবীতে যাতে এই পবিত্র বাইবেল না থাকে এই জন্য রোমের সম্রাট ডায়োক্লিসিয়ান ঘোষণা দিলেন যে, যার ঘরে এই পবিত্র বাইবেল পাওয়া যাবে তাকে হত্যা করা হবে। তাই যাদের কাছে পবিত্র বাইবেল ছিল তারা নিজ নিজ পবিত্র বাইবেল সম্রাটের কাছে জমা দিয়ে দিল।আর যার কাছে এই পবিত্র বাইবেল আছে এই সংবাদ যে না দেবে তাকে হত্যা করা হবে। এমনি ভাবেই তিনি পবিত্র বাইবেল নিশ্চিহ্ন করতে চাইলেন। তার হাতে যে বাইবেল গুলো এসেছিলো তিনি তার সব পুড়িয়ে দিলেন। এবং মনে করলেন আর পবিত্র বাইবেল নেই।
এর এক শতাব্দী পরে সম্রাট কনস্টাইন যখন প্রভু যীশুকে গ্রহণ করলেন তখন তিনি ঘোষণা দিলেন যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে তাকে একখানা বাইবেল এনে দিতে পারবে তাকে ভালো পুরস্কার দেয়া হবে। ঘটনা এমন ঘটলো যে ৫০ টি পবিত্র বাইবেল এসে গেলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে।
একজন নাস্তিক ভন্টেয়ার দার্শনিক বলেছিলেন যে খ্রীষ্ট ধর্ম শেষ হয়ে যাবে কিন্তু এই আজ তার নিজের বাড়ি যেখানে তিনি থাকতেন সেটি বাইবেল সোসাইটির বিরাট অফিস। সেখান থেকে হাজার হাজার পবিত্র বাইবেল ও লক্ষ লক্ষ পুস্তিকা বের হচ্ছে সেগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে।
তাই একথা স্বীকার করতে হয় যে বাইবেলকে কখনও ধ্বংশ ও বিলুপ্ত করা সম্ভব নয়। যা কিনা প্রমাণিত হয়েছে। ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল হলো অবিনশ্বর। বাইবেলে তাই একথা লেখা আছে:
ঘাস শুকিয়ে যায়, আর ফুলও ঝড়ে যায়, কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে। {১ পিতর ২৪-২৫}
বাইবেল হলো একজন মানুষের চলার পথের প্রদীপের মত। গীতসংহিতা পুস্তকে লেখা আছে:
প্রভু, তোমার বাক্যগুলো প্রদীপের মত আমার পথকে আলোকিত করে। {গীতসংহিতা ১১৯:১০৫}
বাইবেল হল একমাত্র গ্রন্থ যা মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথে আনতে পারে। অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষ যদি বাইবেলে সংস্পর্শে আসে তবে তার জীবন আলোয় আলোকিত হবে। এবং সে জীবনে চলার সঠিক পথ খুঁজে পাবে।

পবিত্র বাইবেল সম্পর্কে অনেক বিখ্যাত মণীষীরা অনেক বিখ্যাত কিছু উক্তি দিয়েছেন-
সাধু সুন্দর সিং বলেছেন, ‌
বাইবেল জগতের জন্য ঈশ্বরের প্রেমপত্র।
বিখ্যাত যোদ্ধা নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেছেন, ‌
বাইবেল কেবল মাত্র একটি বই নয় কিন্তু একটি জীবন্ত সৃষ্টি, যা শক্তি সমৃদ্ধ যে কেই বাঁধা দেবে সে পরাজিত হবে।
এবং বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেছেন, ‌
জাগতিক অন্য যে কোন ইতিহাসের চেয়ে বাইবেল যে অধিকতর বিশ্বাস যোগ্য তার অনেক নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে।
তাই আসুন আমরা প্রতিদিন বাইবেল অধ্যয়ণ করি। সাধু পৌল তাঁর তীমথীয় পুস্তকে মহামূল্যবান একটি কথা বলেছেন:
ছেলেবেলা থেকে তুমি পবিত্র শাস্ত্র থেকে শিক্ষা লাভ করেছ। আর পবিত্র শাস্ত্রই তোমাকে খ্রীষ্ট যীশুর উপর বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পাপ থেকে উদ্ধার পাবার জ্ঞান দিতে পারে। {২তীমথীয় ৩:১৫}
বাইবেলের শেষ পুস্তক প্রকাশিত বাক্যে লেখা আছে:
ঈশ্বরের বাক্য যা এখানে লেখা হয়েছে, যে তা পড়ে সে ধন্য এবং যে তা শোনে ও পালন করে সেও ধন্য, কারন সময় কাছে এসে গেছে। {প্রকাশিত বাক্য ১:৩}
প্রকাশিত বাক্য ১:৩ পদের শেষে বলা হয়েছে সময় কাছে এসে গেছে, অতএব বন্ধুরা বাইবেল পড়ুন, বাইবেল পড়া শুনুন ও বাইবেলের লেখা কথাগুলি পালন করুন, তবেই আপনি অনন্ত জীবন পাবেন।
Read More

Wednesday, February 11, 2015

পবিত্র বাইবেল সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য
http://daily-bible-bd.blogspot.com/
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ হল বাইবেল। বাইবেল শব্দটি গ্রীক βιβλία শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ ‌‍একটি পুস্তক। বাইবেল লেখা হয়েছিল ১৫০০ বছরের বেশী সময় ধরে এবং এর লেখক ছিল ৪০ জন। বাইবেল লেখার কাজ পরিচালনা করেছিলেন পবিত্র আত্মা। বাইবেল ৩ টি ভাষায় লেখা হয়েছে, হিব্রু, অরামিক ও গ্রীক। পুরাতন নিয়মের অধিকাংশ পুস্তক হিব্রু ভাষায় লেখা তবে ইষ্রা ও দানিয়েল পুস্তকের কিছু অংশ অরামিক ভাষায় লেখা হয়েছিল। নতুন নিয়মের সব পুস্তকই গ্রীক ভাষায় লেখা। বাইবেলের দুটি অংশ রয়েছে, পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম।
বাইবেল হলো ৬৬ টি পুস্তকের একটি সংকলন। বাইবেলের পুরাতন নিয়মের অধ্যায় সংখ্যা হল ৩৯ টি এবং নতুন নিয়মের অধ্যায় সংখ্যা হল ২৭ টি। বাইবেলের সবচেয়ে বড় পুস্তক হল গীতসংহিতা। বাইবেলের সবচেয়ে ছোট পুস্তক হল ৩ যোহন। পুরাতন নিয়মের সবচেয়ে বড় পুস্তক হলো গীতসংহিতা এবং সবচেয়ে ছোট পুস্তক হলো ওবদিয়। নতুন নিয়মের সবচেয়ে বড় পুস্তক হলো লূক এবং সবচেয়ে ছোট পুস্তক হল ৩ যোহন। বাইবেলের সবচেয়ে বড় অধ্যায় হলো গীতসংহিতা ১১৯ অধ্যায়। বাইবেলের সবচেয়ে ছোট অধ্যায় হলো গীতসংহিতা ১১৭ অধ্যায়।
বাইবেলের সর্বমোট অধ্যায় হলো ১১৮৯ এবং সর্বমোট পদ হল ৩১১৭৩। বাইবেলে যেমন ৬৬ টি পুস্তক রয়েছে তেমনি ইশাইয়া পুস্তকের রয়েছে ৬৬ টি অধ্যায়। বাইবেলে যীশু নামটি ৯৭৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে। রোমের সম্রাট ডায়োক্লিসিয়ান পবিত্র বাইবেল পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন। রোমের সম্রাট কনস্টাইন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের পর তাঁর জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি বাইবেল চেয়েছিলেন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার কাছে ৫০ টি বাইবেল এসেছিল। পৃথিবীতে সর্বমোট ২০৯৮ টি ভাষায় পবিত্র বাইবেল রয়েছে। ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম ইংরেজী বাইবেল অনুবাদ করেন ইংল্যান্ডের জন ওয়াইক্লিফ। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুদ্রিত বাইবেল হলো গুটেনবার্গ বাইবেল। বাংলা বাইবেল সর্বপ্রথম অনুবাদ করেন উইলিয়াম কেরী। বাংলা নতুন নিয়ম সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৮০১ সালে। পূর্ণাঙ্গ বাংলা বাইবেল সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৮০৯ সালে।
Read More

Wednesday, February 4, 2015

Christian life and ministry.

খ্রীষ্টিয় জীবন ও পরিচর্য্যায় ধনাধ্যক্ষতা
http://daily-bible-bd.blogspot.com/

ঈশ্বর যে ধন আমাদেরকে দিয়েছেন, সেই ধনকে দক্ষতার সহিত ব্যবহার করাকে ধনাধ্যক্ষতা বলা হয়। অর্থাৎ ঈশ্বরের প্রদানকৃত ধনের উত্তমভাবে ব্যবহার করা।
ঈশ্বর আমাদের কি কি ধন দিয়েছেন?
১। শরীরঃ ১ম করি ৬:১৯-২০ পদে এই শরীরকে প্রভুর গৌরবের জন্য ব্যবহার করতে হবে। কারন আমরা প্রভু যীশুর খ্রীষ্টের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ২য় করি ৭:১
২। পরিবারঃ পরিবার ঈশ্বরের দান, যে পরিবারে ঈশ্বর আমাকে জন্ম দিয়েছেন। সেই পরিবার সুষ্ঠ ও সুন্দর রাখার জন্য এবং শান্তি শৃংক্ষলা থাকে।
৩। পরিত্রাণঃ এটি অমূল্যধন হিসেবে প্রভু দিয়েছেন- ১ পিতর ১:১৮-১৯। তাই পরিত্রাণে বৃদ্ধি পাবার জন্য চেষ্টা করতে হবে- ১ পিতর ২:১-৩
৪। তালন্ত (Talents)ঃ আমাদের যে যোগ্যতাগুলো ‍দিয়েছেন, সেগুলো দক্ষতার সাথে প্রভুর গৌরবের জন্য ব্যবহার করি- মথি ২৫:১৪-১৯
৫। মন্ডলীঃ মন্ডলীরূপ তার দেহে মধ্যে আপনাকে একটি অঙ্গ হিসেবে যুক্ত করেছেন ১ম করি ১২:২৭; ইফি ১:২৩ ও ৫:২৯-৩০। সুতরাং আপনি যে মন্ডলীর সভ্য আছেন, সেই মন্ডলী আপনার দ্বারা ক্ষতি না হয়ে বৃদ্ধি পায় ও মঙ্গল হয় সেই ভাবে চলা
৬। সম্পদঃ এই পৃথিবীতে জীবন যাপনের জন্য আমাদেরকে কিছু কিছু সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ সঠিক ভাবে ব্যবহার করা ও তা থেকে প্রভুর কাজের জন্য দেওয়া ১ম বংশা ২৯:১৪
৭। দেশঃ যে দেশ আমাদের থাকার জন্য ঈশ্বর দিয়েছেন। সেই দেশকে ভালবাসা ও দেশের ভাল নাগরিক হিসেবে জীবন যাপন করা এবং দেশের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করা যিরমিয় ২৯:৭
উপরোল্লিখিত ধনকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা ভাল ধনাধ্যক্ষ হতে পারি।
দারিদ্রতা কেন আসে?
১. অলসতাঃ হিতোপদেশ ৬:৯-১১।
২. ওষ্ঠের বাঁচালতাঃ হিতোপদেশ ১৪:২৩।
৩. নিদ্রাকে ভালবেসে কাজ না করাঃ ‍হিতোপদেশ ২০:২৩।
৪. দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করা ও ধনবানকে দান করাঃ হিতোপদেশ ২২:১৬।
৫. মদ্যপান ও পেটুকতাঃ  হিতোপদেশ ২৩:২০-২১।
৬. অসার লোকদের পিছনে দৌড়ানঃ হিতোপদেশ ২৮:১৯।
৭. ন্যায্য ব্যয় না করাঃ হিতোপদেশ ১১:২৪।
এই দারিদ্রতা থেকে মুক্তির উপায় আছে কি? হ্যা, আছে, প্রভু যা দিয়েছেন, তা হতে নিয়মিতভাবে যদি প্রভুকে দেই, তবে প্রচুর পরিমানে ফিরে পাব- লূক ৬:৩৮।
প্রভুকে আমরা কি কি দিব?
১। সময় ২। তালন্ত ও ৩। আয়ের দশমাংশ
১। সময়ঃ ঈশ্বর যে সময় আমাদেরকে দান করেছেন, সেই সময়কে সদ্ব্যব্যবহার করা- ইফি ৫:১৫-২১।
সময় কিভাবে প্রভুকে দিব? প্রার্থনা বাক্যপাঠ ও ধ্যান, বিশ্বাসীদের সাথে একত্র হয়ে পিতার আরাধনা করা, প্রভুর পক্ষে সাক্ষ্য বহন করার মাধ্যমে সময় প্রভুকে দিতে পারি। তাহলে তিনি সুস্বাস্থ্য, আরোগ্য ও আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করিবেন।
২। তালন্ত বা মেধা (মথি ২৫:১৪-১৫,১৯ পদ)ঃ আমাদের যা কিছু আছে অর্থাৎ বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান ইত্যাদি যোগ্যতাগুলো প্রভুর রাজ্য বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার করি। তাহলে এইসব আরও বৃদ্ধি পাবে।
৩। আয়ের দশমাংশঃ আমাদের আয় হতে দশমাংশ দেবার জন্য প্রভু আদেশ করেছেন। আমরা যখন দেই, তখন প্রচুর পরিমাণে আর্শীবাদ করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন- মালাখি ৩:১০-১২ পদ।
বাইবেলে আছে ঈশ্বরকে পরিক্ষা করা যাবে না কিন্তু এই একটি বিষয়ে ঈশ্বরকে পরীক্ষা করার জন্য তিনি নিজিই বলেছেন। কারণ এর মাধ্যমে আমাদেরকে তিনি আর্শীবাদ করতে পারেন। এই দশমাংশ সত্যিকার ভাবে বাকী ৯০% শতাংশকে সুরক্ষিত করে- মালাখি ৩:১১-১২ পদ। জমিতে যখন আমরা বীজ বপন করি তখন জমি আমাদেরকে প্রচুর ফল দান করে যা বপন করা বীজ থেকে বহুগুণ বেশি। সুতরাং যিনি এই জমিকে সৃষ্টি করেছেন তিনি আরও কত না বেশী বিশ্বস্ত।


Read More

Tuesday, February 3, 2015

Giving Tithes ‍and offering.

দেও তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে লূক ৬:৩৮ এটি একটি আদেশ। গ্রীকে চলমান বর্তমানে।

http://daily-bible-bd.blogspot.com/নিম্নে দেওয়ার ফলে লাভের কিছু উদাহরণ প্রদান করা হলঃ
ক) সবকিছু দেওয়ার মধ্যে সব পাওয়াঃ
যুবক Stanley Tam : রূপার ব্যবসা করতেন। ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। ঈশ্বরকে প্রশ্ন করলেন, Why Lord
ঈশ্বর তাকে বলেলন তোমার ব্যবসা ভালো না হওয়ার কোন কারন নেই। ব্যবসাটা আমাকে দাও আমি এটি চালাবো। টেম প্রতিউত্তরে ঈশ্বরকে প্রতিশ্রুতি দিল যে সে তার ব্যবসা ঈশ্বরকে দেবে। টেম এর ব্যবসা বৃদ্ধি পেতে থাকলো। তিনি এত উন্নতি লাভ করলেন যে,একদিন তার সমস্ত ব্যবসার মালিক ঈশ্বরকে করে তিনি সামান্য কর্মচারী হিসেবে ব্যবসায় রইলেন। টেম American Plastics কোম্পানীর মালিক ছিলেন।
খ) চার্লি পেজঃ কপর্দকশূন্য বালক কোটি পতি হন। আপনি কি কপর্দক শূন্য? চার্লি পেজ কপর্দকশূন্য বালক রাস্তায় ঘুরছিল। একদিন সে সালভেশন আর্মির একটি ভ্রাম্যমান দলের গান শুনবার জন্য রাস্তার মোড়ে দাড়াল। গানের শেষে গানের দল দান সংগ্রহ করছিল। যখন তার এই বালকের সামনে দানের থলি বাড়িয়ে দিল সে বললো তার কাছে কোন অর্থ নেই। গানের দলের একটি মেয়ে চার্লি পেজের হাতে ১ ডলার দিল এবং বললো ১০ সেন্ট তুমি দশমাংশ দাও এবং এখন থেকে যা কিছু আয় করবে তার দশমাংশ ঈশ্বরকে দেবে। তোমার অভাব থাকবে না। সে তাই করলো। তার অভাব থাকলো না । আস্তে আস্তে সে কোটিপতি হলো । সে শুধু দশমাংশ দিয়ে ক্ষান্ত হলো না । সে প্রভুর জন্য হাসপাতাল এবং অন্যান্য কাজ করতে লাগলো । যতই সে দিল ততই সে আরো ভাগ্যবান হলো।
গ) চাকুরীচ্যুত Wallace Johnson কোটিপতি হলঃ আপনি কি চাকুরীচ্যুত? বালক ওয়লেস জনসন একটি করাতকলে চাকুরি করতেন। করাতকল মালিক তাকে চাকুরী থেকে বের করে দেন।
জনসন প্রভুর উপরে নির্ভর করে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৩৯ খ্রীঃ মাত্র ২৫০ ডলার ধার করে ব্যবসা শুরু করেন। আজকে তিনি Holiday Inn পৃথিবীর বিখ্যাত হোটেল গ্রুপের মালিক। তিনি তার খ্রীষ্টিয় সেবা কাজের জন্য বিখ্যাত। তিনি বলেনঃ I am totally dependent on lord for help in everything. I do, other wise. I honestly believe it would start to fall apart in months.------ আমি যা কিছু করি তার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করি। না হলে এতদিনে আমার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতো।
ঘ) দুর্দশার মধ্যে আশীর্বাদঃ আপনি কি দুর্দশাপন্ন? আমি Kreft Cheese (পনির) খেতে খুব পছন্দ করতাম।Philippines এ থাকতে আমি বাজার থেকে এটি কিনে এনে মজা করে খেতাম।
একজন যুবক শিকাগোতে একটা ছোট পনিরের কারখানা দিল। কিন্তু ব্যবসায় মন্দা দেখা দিল এবং সে বিরাট অঙ্কের ঋণে পড়ল। একজন খ্রীষ্টিয়ান যুবক তাকে বললো তুমি ঈশ্বরকে তোমার ব্যবসাতে নেওনি, তার সঙ্গে কাজ করোনি তাই তোমার এই অবস্থা।
যুবকের কাছে কথাটা ভালো লাগলো। সে ঈশ্বরকে ব্যবসাটা দিল। ফলে ব্যবসার উন্নতি হলো এবং তার পনির কোম্পনী পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ পনির কোম্পানীতে রূপ নিল। যা আজ Kreft Cheegse Company নামে পরিচিত এবং এই যুবকে নাম ছিল J.L.Kreft
ঙ) Clogate কাহিনীঃ গৃহত্যাগী যুবক উইলিয়াম নামে ১৬ বছরের একজন বালক, গরীব। গৃহত্যাগ করেছে অভাবের তাড়নায়। একজন বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা। বৃদ্ধকে তিনি তার অভাবের কথা বলেলন। বৃদ্ধ তাকে নিয়ে প্রার্থনা করলেন এবং বলেলন যেন সে একটি মন্ডলীর সাথে যুক্ত হয়, প্রার্থনা করে এবং প্রভুকে তার প্রাপ্য দেয়।
যুবক তাই করলো। দশমাংশ দিতে শুরু করলো। তার ভাগ্য খুলে গেলো। সে প্রথম ১০%,২০%,৩০%,৪০%,৫০%, এবং শেষে সব আয় প্রভুকে দিয়ে দিলো। এই হচ্ছে উইলিয়াম কলগেট এর কাহিনী। বিখ্যাত কলগেট কোম্পানীর মালিক।
প্রভু আদেশ করেছেনঃ দেও তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে।
সমস্ত দশমাংশ ভান্ডার আন,…… ইহাতে আমার পরীক্ষা কর …… আমি আকাশের দ্বার সকল উন্মুক্ত করিয়া তোমাদের প্রতি অপরিমেয় আর্শীবাদ বর্ষণ করি কি না ---- মালাখি ৩:১০ পদ।
ঈশ্বর আর্শীবাদের বন্যা বইয়ে দেবেন. যদি আমরা দেই।
দানের ক্ষেত্রে কতগুলো নীতিমালাঃ
  • দান দেবার আগে নিজেকে দান করুন।
  • সবচেয়ে উত্তম বিষয়টি দান করুন। যা ভালো।
  • স্ব-ইচ্ছায় দান করুন।
  • যেভাবে উন্নত হচ্ছেন সেভাবে দার করুন। না হলে যেভাবে দেন সেই অনুসারে দেওয়া হবে।
  • উদারভাবে দান করুন।
  • নম্রভাবে দান করুন।

আমেরিকার এক সময়ের বিখ্যাত ধনী রকফেলার এর সাক্ষ্যঃ

আমি দশমাংশ দেই। আমি প্রথম যখন ১ ডলার ৫০ সেন্ট আয় করে মার হাতে দিলাম। মা আমাকে বললেন। ‍তিনি খুশী হবেন যদি আমি ঐ ডলারের দশমাংশ প্রভুকে দেই। আমি দিলাম। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত যত ডলার আমি আয় করেছি তার দশমাংশ যদি আমি প্রভুকে না দিতাম তবে হয়তো কোনদিনই দশমাংশ প্রভুকে দিতে পারতাম না। আমি আপনাদের অনুরোধ করি আপনার সন্তানকে দশমাংশ দিতে শিক্ষা দিন তবে তারা ভাগ্যবান হবে এবং ঈশ্বরের প্রিং দানশীল ব্যক্তি হবে।
Read More