যীশুর প্রথম দিকের পারিবারিক জীবন
যখন যীশু নাসরতে বড় হয়ে উঠেছিলেন, তখন তা ছোট, গুরুত্বপূর্ন নয় এমন একটি নগর
ছিল। ইহার অবস্থান ছিল গালীল নামক এলাকার পাহড় অঞ্চলে, যা সুন্দর যিষ্রিয়েলের উপতাকা
থেকে খুব দূরে নয়।
যখন যীশুকে, হয়ত দুই বৎসর বয়সে, মিশর থেকে যোষেফ আর মরিয়ম এখানে নিয়ে আসেন,
সে তখন মরিয়মের একমাত্র সন্তান ছিল। কিন্তু বেশি দিনের জন্য নয়। এরপর যাকোব, যোষেফ,
শিমোন ও যিহূদার জন্ম হয়, এবং মরিয়ম ও যোষেফ কন্যাদেরও জন্ম দেন। তাই দেখা যায়, যে
কম করেও যীশুর ছয় জন ছোট ভাইবোন ছিল।
যীশুর অন্য আত্মীয়রাও আছেন। আমরা তার বড় মাসতুতো দাদা যোহনের কথা জানি, যিনি
অনেক কিলোমিটার দূরে যিহূদীয়াতে থাকেন। কিন্তু গালীলের কাছে শালোমী থাকতেন, যে মনে
হয় মরিয়মের বোন। শালোমীর বিবাহ হয় সবদিয়ের সাথে, তাই তাদের দুই পুত্র, যাকোব ও যোহন,
যীশুর মাসতুতো ভাই। আমরা জানি না যে, বড় হয়ে উঠার সময়, যীশু এদের সাথে অনেক সময় কাটাতেন
কিনা, কিন্তু পরবর্ত্তী কালে এরা খুব ঘনিষ্ট সঙ্গীতে পরিণত হয়েছিলেন।
যোষেফকে তার বড় পরিবারের যত্ন নেবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হত। তিনি একজন
সূত্রধর ছিলেন। যোষেফ যীশুকে তার নিজের পুত্র হিসাবে বড় করে তোলেন, তাই যীশুকে বলা
হয়, সূত্রধরের পুত্র । যোষেফ যীশুকে একজন সূত্রধর
হতে তালিম দেন, আর তিনি তা ভালভাবেই শেখেন। সেই জন্য পরে লোকেরা যীশুর সম্বন্ধে বলে,
এই সেই সূত্রধর।
যোষেফের পরিবারের জীবনযাত্রা ঈশ্বরের উপাসনার চারিদিকে কেন্দ্রীভূত ছিল। ঈশ্বরের
আইনের সাথে মিল রেখে, যোষেফ ও মরিয়ম তাদের ছেলেমেয়েদের আত্মিক শিক্ষা দেন, গৃহে বসিবার
কিম্বা পথে চলিবার সময় এবং শয়ন কিম্বা গাত্রোথান কালে। নাসরতে একটি সামাগৃহ আছে,আর
আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে যোষেফ নিয়মিত তার পরিবারকে সেখানে নিয়ে যান উপাসনার জন্য।আর
কোন সন্দেহ নেই যে নিয়মিত যিরূশালেমে ঈশ্বরের মন্দিরে যাওয়া তাদের সব থেকে আনন্দের
কারন ছিল।
মথি ১৩:৫৫,৫৬; ২৭:৫৬; মার্ক ১৫:৪০; ৬:৩.
দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬-৯.
প্রশ্নঃ
- কমপক্ষে যীশুর আরো কতজন ছোট ভাই ও বোন আছে, আর তাদের কয়েক জনের নাম কি?
- যীশুর তিনজন অতি পরিচিত মাসতুতো ভাই কারা?
- কি পেশা যীশু নেন, এবং কেন?
- কি বিশেষ শিক্ষা যোষেফ তার পরিবারকে দেন?
0 comments:
Post a Comment