একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি
ইহা সত্ত্বেও আশ্চর্য্যজনক ভাবে অনেকে বলে থাকে
যে যীশু কখনও জীবিত ছিলেন না – যে আসলে, তিনি প্রথম –শতাব্দীর কিছু লোকের
সৃষ্টি। এই ধরনের সন্দেহকারীদের উত্তর দিতে গিয়ে সম্মানিত ঐতিহাসিক উইল ডুরান্ট
যুক্তি প্রদর্শন করেন: “ কতকগুলি সাধারন লোক যে একাটি বংশে এমন শক্তিমান ও মর্মস্পর্শী
একটি ব্যক্তিত্ব এত উচ্চ নীতিতত্ত্ব এবং মনুষ্য ভ্রাতৃত্বের এরূপ অনুপ্রেরনাদায়ক
এক দর্শনশক্তি উদ্ভাবন করবে, তা হবে সুসমাচারে লিপিবদ্ধ যে কোন বিস্ময়কর ঘটনার
চাইতেও অনেক বেশী অবিশ্বাস্য।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: একজন ব্যক্তি যিনি কখনও
জীবিত ছিলেন না তিনি কি মানুষের ইতিহাসকে এমন ভাবে প্রভাবিত করতে পারেন? দ্যা
হিস্টোরিয়ানস্ হিস্টরী অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড এইভাবে মন্তব্য করে :“ [যীশুর] কার্য্যাবলীর
ঐতিহাসিক ফল ছিল অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন , এমনকি কঠোর জাগতিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক
দিয়ে, ইতিহাসের যেকোন চরিত্রের কার্য্যাবলীর থেকেও । তার জন্ম থেকে জগতের সভ্যতার
এক নুতন যুগের গণনা করা হয়।
হ্যাঁ চিন্তা করুন এই সম্বন্ধে। এমনকি
বর্তমানকালের ক্যালেন্ডারগুলি যীশু যে বছর জন্ম নিয়েছিলেন বলে মনে করা হয় তার উপর
ভিত্তি করে। সেই বছরের আগের তারিখগুলি তালিকা ভুক্ত করা হয় এইরূপে বি. সি., অথবা
খ্রীষ্টপূর্ব . দি ওয়ার্ন্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া ব্যাখ্যা করে। সেই বছরের পরের
তারিখগুলি তালিকা ভুক্ত হয়ে থাকে এইরূপে এ.ডি., অথবা এ্যানো ডোমিনি (আমাদের প্রভুর
বৎসরে)।
সমালোচকরা যাইহোক বলে থাকে, যে যীশুর সম্বন্ধে
প্রকৃতই আমরা যা কিছু জানি তা কেরল বাইবেলে লিপিবদ্ধ । তার সম্বন্ধে সমসাময়িক আর
কোন তথ্য পাওয়া যায় নি , তারা বলে। এমনকি এইচ. জি. ওয়েলস্ লেখেন: “
পুরাতন রোমীয় ঐতিহাসিকেরা যীশুকে একেবারে উপেক্ষা করে গেছেনে; তিনি তার সময়ের
ঐতিহাসিক রেকর্ডের উপর কোন প্রভাব ফেলেননি। কিন্তু তা কি সত্য?
যদি ও যীশু খ্রীষ্ট সস্বন্ধে জাগতিক ইতিহাসে
উল্লেখ খুব সীমিত কিন্তু তার সম্বন্ধে উল্লেখ পাওয়া যায়। কর্ণেলিয়াস টেসিটাস ,
প্রথম শতাব্দীর একজন সম্মানিত রোমীয় ঐতিহাসিক, লেখেন: এই নাম (খ্রীষ্টান) নেওয়া
হয়েছে খ্রীষ্ট থেকে যাকে প্রোকিউরেটর পন্তীয় পীলাত টাইবেরিয়াসের রাজত্ব কালে হত্যা
করায়। সোয়েটনিয়াস ও প্লিনি দি ইয়ংগার, সেই সময়ের অন্যান্য রোমীয় লেখকেরাও, যীশুর
কথা উল্লেখ করেছিলেন। এছাড়াও, ফ্লেবিয়াস যোসেফাস, প্রথম শতাব্দীর যিহূদী ঐতিহাসিক
, যাকোব সম্বন্ধে লেখেন , যাকে তিনি সনাক্ত করেন “ যীশু, যাকে বলা হয়
খ্রীষ্ট, তার ভাই বলে।”
দ্যা নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা এই উপসংহার
করে : এই স্বাধীন তথ্যগুলি প্রমাণ করে যে প্রাচীন কালে যারা খ্রীষ্টিয় তত্ত্বের
বিরোধী ছিল তারাও যীশুর ঐতিহাসিক বাস্তবতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি, যা প্রথম
বিতর্কের মধ্যে পড়ে যথেষ্ট প্রমান ছাড়াই ১৮ শতাব্দীর শেষের দিকে , ১৯ শতাব্দীতে ও
২০ শতাব্দীর প্রথম দিকে।
যীশুর সম্বন্ধে অবশ্য যা কিছু জানা যায় তা তার
প্রথম শতাব্দীর অনুগামীরা লিপিবদ্ধ করেন। তাদের রিপোর্ট সুসমাচারের পুস্তকে
লিপিবদ্ধ করা আছে ---বাইবেলের বই যেগুলি মথি, মার্ক, লূক ও যোহন লিখেছেন। যীশুর
পরিচয় সম্বন্ধে এই বিবরণগুলি কি বলে?
আরো পড়ুন:-------------
আরো পড়ুন:-------------
0 comments:
Post a Comment