ঈশ্বরের আশ্চর্য সৃষ্টি

তখন হঠাৎ একটি কন্ঠস্বর শোনা গেল, আলো হোক । অমনি আলো হয়ে গেল। চমৎকার আলো।
ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন, আর নাম দিলেন দিন ও রাত। এ হল সর্বপ্রথম দিন।
দ্বিতীয় দিন, ঈশ্বর একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে শুরু করলেন। তিনি বাতাস থেকে
জলকে আলদা করলেন। তখন নীল আকাশ দেখা দিল।
তৃতীয় দিন, ঈশ্বর সমস্ত জলকে সমুদ্রে, ঝর্ণায় ও নদীতে একত্র করে শুকানো জমি
সৃষ্টি করলেন। তিনি সমতল ভূমি এবং পাহাড়-পর্বতকে ঘাস,ফুল,লতাপাতা ও গাছপালা দিয়ে ভরে
দিলেন। গাছে গাছে এবং ঝোপঝাড়ে আম,জাম,কাঁঠাল,কুল,নারিকেল,জলপাই,আপেল,কমলা,কামরাঙা নানা
ফল ধরতে শুরু করল।
চতুর্থ দিন, ঈশ্বর আকাশে হলুদ রঙের গোলাকার একটি জিনিস দিলেন। এটি হল সূর্য।
সন্ধ্যে বেলায় উজ্জ্বল চাদঁ দেখা দিল, দেখা গেল অনেক তারা মিটমিট করে জ্বলছে।
পঞ্চম দিন, সবজায়গায় নানা শব্দ শোনা গেল। এ দিলে ঈশ্বর কী তৈরি করলেন? তৈরি
করলেন আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখি, জলে সাতার কাটা মাছ। সেগুলো ছিল নানা আকারে নানা প্রকারে
নানা রঙের। তিমি, গোল্ডফিস্, নীলপাখি, রাজহাস, উটপাখি ইত্যাদি হল ঈশ্বরের সৃষ্ট অনেক
প্রানীর মধ্যে কয়েকটিমাত্র।
ষষ্ঠ দিন, পশুপাল, বুকে হাটা প্রাণী ছাড়া আরও অনেক প্রাণী দেখা গেল। বাঘ, ভাল্লুক,
সিংহ ইত্যাদির পাশাপাশি গরু, ঘোড়া, ভেড়া, কুকুর, বিড়াল এবং খরগোশও ঈশ্বর তৈরি করলেন।
ঈশ্বর যে এদিনে সর্বপ্রথম পুরুষ মানুষও তৈরি করলেন, এগুলো ছিল তার জন্য জন্মদিনের আকর্ষণীয়
উপহার। তুমি কি জানো সেই প্রথম পুরুষ মানুষের নাম কী? পরের গল্পে তুমি তার সম্পর্কে
জানতে পারবে।
সপ্তম দিন, ঈশ্বর বিশ্রাম নিলেন। তিনি সেই দিনের নাম দিলেন পবিত্র দিন, কারন
সেই দিন তিনি তার সব ভাল কাজ শেষ করলেন।
আদিপুস্তক ১;২:১-৩
বিশ্বাসের দ্বারাই আমরা বুঝতে পারি যে, ঈশ্বরের মুখের কথাতে এই পৃথিবী সৃষ্ট
হয়েছিল। (ইব্রীয় ১১:৩)
0 comments:
Post a Comment